
ছবি: সংগৃহীত
গীতিকার ও সুরকার ‘হাবিব মোস্তফা’ এই রমযানে স্বকণ্ঠে ইসলামি গান নিয়ে হাজির হলেন। ‘আসমানে চাঁদ হাসে, শয়তান কাপে ত্রাসে, মুমিনের প্রাণেতে বেহেস্তি ঘ্রাণ, এলো খুশির পয়গাম নিয়ে মাহে রমযান’ কথামালায় গানটি রচনা করেছেন কবি নাসির ফরহাদ।গানটিতে সুরারোপ করেছেন হাবিব মোস্তফা, মিক্স ও মাস্টার করেছেন অণু মোস্তাফিজ। জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেল পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষ্যে গানটি পহেলা রমযান রিলিজ হয়েছে।
গানটি সম্পর্কে হাবিব মোস্তফা বলেন: আমি মূলত গীতিকার-সুরকার হিসেবে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। গান গাওয়া আমার কাজ নয়। সুফি, মরমি, আধুনিক গানের পাশাপাশি গেল কয়েক বছর ধরে আমার লেখা ও সুরে রমযান মাসে নিয়মিত ইসলামিক গান প্রকাশিত হচ্ছে নন্দিত শিল্পীদের কণ্ঠে। কিন্তু এবার দেশের পরিস্থিতি ভেবে রোজায় গান করব না ভেবেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ নিজের মধ্যে একটা তাড়না অনুভব করি। আমার কবি বন্ধু নাসির ফরহাদের একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয় বই মেলায়। মেলার মাঠে গুনগুন করে গান গাইছি। হঠাৎ আমার বন্ধু আমাকে বলল: আমার কবিতার বইয়ে একটি ইসলামিক কবিতা রয়েছে। বন্ধুর লেখা কবিতাকে গান বানিয়ে ‘খুশির পয়গাম’ তৈরী হল। শ্রোতাদের ভাল লাগলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
নাসির ফরহাদ বলেন, গীতিকার বলতে যে গুণের অধিকারী হতে হয়: সেই অর্থে তার কোনটাই আমার মধ্যে নেই। অমর একুশে বই মেলায় আমার কাব্যগ্রন্থ ‘তোমাকেই যায় বলা’ প্রকাশিত হয় এবং পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে।হাবিব মোস্তফা আমার সহপাঠী-বন্ধু। আমার বই সে মেলা থেকে সংগ্রহ করে আমাকে ফোন করে তার ভাললাগা জানায়। কথার এক পর্যায়ে বইটিতে থাকা একটি ইসলামিক কবিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
সেই আলোচনা থেকে আমি ‘খুশির পয়গাম’ গীতিকবিতাটি রচনা করি। হাবিব মোস্তফা অল্প সময়ের মধ্যেই এতে সুরারোপ করে এবং আমাকে না জানিয়েই নিজের কাণ্ঠে তা ধারণ করে আমাকে তা পাঠায়। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে আনন্দিত করেছে। যার ফলশ্রুতিতে গানটি রোজায় প্রকাশিত হল। ইসলামি গানের শ্রোতাদের মনে গানটি স্থান পেলে আমার ভবিষ্যত কাজে তার বিশেষ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
শহীদ