ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের সময়মতো বিয়ের মাধ্যমে আন্দোলনে সফলতা আসবে: আসিফ

প্রকাশিত: ০০:০৬, ৪ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের সময়মতো বিয়ের মাধ্যমে আন্দোলনে সফলতা আসবে: আসিফ

আসিফ আকবর

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ শরব থাকেন। সম্প্রতি এক পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমে।

পোস্ট দিয়ে আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা মা হতে পারে, আমরাও দাদা/ নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে।’ 

সন্তানদের বিয়ের জন্য বাবা মাকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে। এরমধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়। স্বর্ণের ভরি এখন এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবেনা। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা মা’কে।’

সংগীতশিল্পীর ভাষ্য, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দোলনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর, অথচ আমি ঐ বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা, ব্যাংক ঋণ দিবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোন প্রেশার ছাড়া। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম, এখনই সময়।’

আসিফ আকবরের বড় ছেলে শাফকাত আসিফের বিয়ের বিষয়ে উল্লেখ করে সংগীতশিল্পী বলেন, ‘এদিকে দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ এবং শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিয়ে বার্ষিকী পূরণ হয়েছে আজ। দুজনেই কানাডার টরন্টো'য় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মত কোন সুখবর নেই।’

পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো প্ল্যান নাকি আছে। বললাম তোমার জন্মের সময় কোন প্ল্যান আমাদের ছিল না, অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো। পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্র'র বিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ, সেই অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ-ঈশিতা তোমাদের বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা। ভালবাসা অবিরাম।’

বারাত

×