ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণ হবেই’

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণ হবেই’

আমিরুল মোমেনীন মানিক

জীবনমুখী গানের শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। ওপার বাংলার কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে তার গাওয়া ‘আয় ভোর, ‘নীল পরকীয়া’ এবং ‘সকাল হবে কি’ শিরোনামের গানগুলো দুই বাংলাতেই দারুণ জনপ্রিয়। শিল্পী পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মীও। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তিনি ইউটিউব জার্নালিজমের ধারণা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ইউটিউব টিভি চেঞ্জ টিভি ডট প্রেস। নতুন বাংলাদেশ ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি...

সরকারের পরিবর্তনের দুই মাস পার হচ্ছে। এ সময়টাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
-এটাকে শুধু সরকার পরিবর্তন বললে ভুল বলা হবে। এটা পরিপূর্ণ একটি গণঅভ্যুত্থান বা গণবিপ্লব। দেশের আপামর মানুষ বিপুল প্রত্যাশায়  বুকের রক্ত ঢেলে এই নতুন সময় অর্জন করেছে। তবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা খুব কষ্টসাধ্য কাজ। আপাতত সবার মন থেকে মতপ্রকাশের ভয় দূর হয়েছে। আশা করছি প্রত্যেক সেক্টরে দুর্নীতির কালো শুয়োরদের কবর রচিত হবে।
যে লক্ষ্য উদ্দেশ্যে নতুন প্রজন্মের আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছে, তার সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
-আমি মনে করি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণ হবেই, এছাড়া কোনো উপায় নেই, আমাদের পূরণ করতে হবেই, আমরা পথে নেমেছি, এই পথ ও পদক্ষেপই আমাদের জাতিকে স্বর্ণবন্দরে নিয়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে একে অপরের প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ বাড়ছে। এটিকে কিভাবে দেখছেন? 
-আলো আসবেই ফেসবুক গ্রুপে যদি অন্ধকারের চর্চা হয়, তবে তো বিভেদ বাড়বেই। সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক গুণীজন বিপ্লবের পক্ষে দাঁড়াতে পারেননি, এখন তাদের সেই দায়ভার নিতেই হবে। তারা যদি দায়স্বীকার করে ক্ষমা চান, তবে অবশ্যই নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
সংগীত শিল্পীর পাশাপাশি আপনি সংবাদকর্মী ও একজন লেখক। সব পেশা কিভাবে ব্যালেন্স করেন?
-সময়ের প্রয়োজনেই সব করতে হয়। গান, সংবাদ বা লেখালেখি, সবার উপজীব্য হলো মানুষ ও অসঙ্গতির প্রতিবাদ। সুতরাং এই তাড়না ও তৎপরতাকে উপভোগই করি। এই ধরুন এখন গণমাধ্যমের সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লড়াই জারি রেখেছি। নতুন বাংলাদেশে বিপ্লবী সরকারকে সোজা পথে রাখতে গান, কবিতা এবং সাংবাদিকতার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
জীবনমুখী গান নিয়ে আপনার পদাচারণা। এ গান দিয়ে আমাদের দেশে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা কেমন? 
-গণঅভ্যুত্থানের লড়াইয়ে প্রতিবাদী জীবনমুখী গানগুলো দারুণ অনুপ্রেরণা দিয়েছে। জীবনমুখী গানের মর্যাদা ও অবস্থান ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হচ্ছে। সুতরাং তরুণরা এর চর্চা বাড়ালে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দিন আসবেই।
আপনার ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই?
-গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ভাইদের নিয়ে এবং আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে ১২টি গান প্রস্তুত হয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এই মুহূর্তের প্রধান কাজ হচ্ছে গানের মধ্য দিয়ে গণবিপ্লবের চেতনা ও ইতিহাসকে তুলে ধরা।

×