ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১

গানে আমার সব প্রাপ্তি

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২৭ জুন ২০২৪

গানে আমার সব প্রাপ্তি

দুষ্টু কোকিল গানে শাকিব-মিমি

চারদিকে দুষ্টু কোকিল বাজছে...
অল্প সময়ে দুষ্টু কোকিল সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি বলব এটা একটা হ্যাপি সং। যার কারণে সহজে এটি সবাই গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে শাকিব খান ও মিমির মতো তারকার পারফর্মেন্স অতুলনীয়। সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে গান ও পারফর্মেন্স দুটোর যোগফল এ গানের সাফল্য। 
এর আগেও শাকিব খানের সিনেমায় আপনার গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে...
এর আগে আমি সর্বশেষ ‘বসগিরি’ সিনেমায় গান করেছি। সে সিনেমার ‘দিল দিল দিল’ গানটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমাকে এটি গাইতে হয়। তবে সে গানের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন আলোচনার সুযোগ ছিল না।  
‘বসগিরি’র পর লম্বা সময় গেছে। শাকিবের সিনেমার গানের জন্য এই লম্বা বিরতিটা কেন?
সিনেমার ক্ষেত্রে যেটা হয়, যখন যাকে প্রয়োজন তাকেই নেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হচ্ছে এ গানে আমার কণ্ঠ প্রয়োজন ছিল বলেই আবার গাইতে পেরেছি। তবে আমি নিয়মিতই প্লেব্যাক করছি। গেল ঈদের সিনেমাগুলোতেও আমার গান ছিল।
‘তুফান’ সিনেমা দেখেছেন। কেমন লাগল...
এ সিনেটি সবার দেখা উচিত। আমি এরমধ্যে দেখেছি। আরও কয়েকবার সিনেটি দেখব।
আকাশ সেনের সঙ্গে আপনার বেশ ভালো রসায়ন। আপনাদের এ জুটি নিয়ে জানতে চাই...
তার সঙ্গে আমার গানের রসায়ন চমৎকার। সেই ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছি। রেশমি চুড়ি, ও ডিজে, হেইলা দুইলা নাচ, বৈশাখের বিকেল বেলাসহ আরও বেশকিছু গান তার সুরে গেয়েছি। কিছু গান আমাদের দ্বৈতকণ্ঠেও আছে। তুফান টিম আকাশ সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের সমন্বয়েই আমাকে দিয়ে এ গান গাওয়ানো হয়েছে। এ গানে ভয়েস দেওয়ার পর মনে হলো হুক লাইনটা খুবই ক্যাচি। মানুষ দ্রুত পছন্দ করবে। সিনেমার শূটিং শেষ হওয়ার পর আমি জানতে পারলাম মিমি চক্রবর্তী ঠোঁট মিলিয়েছেন। কিছুদিন পর জানলাম শাকিব খানও আছে এই গানের দৃশ্যে। সব জানার পর আমার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যায়।
একটা ইন্টারভিউতে রুনা লায়লা ম্যাডাম আপনার এ গানের প্রশংসা করেছে...
আমি উনাকে আমার এ গানটি পাঠানোর পর শুনে ভেরি নাইছ বলেছেন। আমি এটাতেই খুশি ছিলাম।  পরবর্তীতে জানতে পারি একটা ইন্টারভিউতে তিনি এ গান নিয়ে কথা বলেছেন। আমার এক্সপ্রেশন নিয়েও কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। 
সিনেমার গানে অনেক পলিটিক্স হয় বলে শোনা যায়। আপনি কি বলবেন? 
পলিটিক্স শুধু গানেই নয়, আমাদের সব মাধ্যমেই কম বেশি হয়। তবে আমি পলিটিক্সে বিশ্বাসী না। আমি আমার গতিতেই চলতে পছন্দ করি। সত্যি বলতে, গানে আমার সব প্রাপ্তি। আমি প্রথম প্লেব্যাক করি ২০০০ সালে; দুই যুগের ক্যারিয়ার। এ সময়ে এখানে আমাকে পারসোনাল সম্পর্ক দিয়ে কোথাও গান গায়তে হয়নি। এখন যে গানটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, এটা ন্যাচারালই হয়েছে। আমাকে লবিং করতে হয়নি। যা কিছু আমার জন্য বরাদ্দ তা আসবেই। সিব কিছু নির্ধারণ হয় ওপর থেকে। আমি সব সময় এটাই মেনে আসছি।
এ সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গান ভাইরাল হচ্ছে। আবার হারিয়েও যাচ্ছে...
প্রথমেই বলতে চাই আমি ভাইরাল যুগের শিল্পী না। আমি সিডি ক্যাসেটের যুগের শিল্পী। সে সময় থেকেই  মৌলিক গান দিয়েই নিজকে পরিচিত করতে চেয়েছি। এখনো মৌলিক গান দিয়েই টিকে আছি। নিজের কিছু মৌলিক গান আছে বলেই গান করার সুযোগ পাচ্ছি। না হয় হয়তো হারিয়ে যাওয়া সিরিয়ালে আমার নামও থাকত।

×