
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বখ্যাত ড্র্যাগ পারফর্মার বিয়াঙ্কা ক্যাস্ট্রো-অ্যারাবেজো, যিনি মঞ্চনামে জিগলি ক্যালিয়েন্তে হিসেবে পরিচিত ছিলেন, ৪৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার পরিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
‘রুপলের ড্র্যাগ রেস’-এর চতুর্থ মৌসুমে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া ক্যালিয়েন্তে সম্প্রতি একটি "গুরুতর সংক্রমণ"-এর কারণে তার একটি পায়ের অংশ হারান। গত বৃহস্পতিবার তার ডান পায়ের বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলতে হয়। এরপর রবিবার ভোরে, পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের পাশে নিয়ে, তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এক বিবৃতিতে তার পরিবার লিখেছে, "অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় বিয়াঙ্কা ক্যাস্ট্রো-অ্যারাবেজো, যিনি বিশ্বজুড়ে জিগলি ক্যালিয়েন্তে নামে পরিচিত ছিলেন, আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।"
পরিবার আরও জানায়, তার "সংক্রামক উচ্ছ্বাস, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অকৃত্রিম ব্যক্তিত্ব" সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। তারা বলেন, "ভালোবাসা, সাহস ও আলোর উত্তরাধিকার রেখে গেছেন তিনি। তার শিল্পকর্ম, সামাজিক সচেতনতা এবং বিশ্বজুড়ে ভক্তদের সঙ্গে গড়ে তোলা সম্পর্কের মাধ্যমে অগণিত মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছেন তিনি।"
ড্র্যাগ রেস ইউকে ভার্সেস দ্য ওয়ার্ল্ড বিজয়ী টিয়া কফি বলেন, "তিনি এমন একজন ছিলেন, যার কাছে আমি পরামর্শ নিতে যেতাম, যাকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, এবং যিনি প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকতেন।"
১৯৮০ সালে ফিলিপাইনে জন্ম নেওয়া ক্যালিয়েন্তে শৈশবে পরিবারের সঙ্গে নিউইয়র্ক শহরের কুইন্স এলাকায় চলে আসেন।
২০১২ সালে ‘রুপলের ড্র্যাগ রেস’-এ অংশ নিয়ে হাস্যরস ও অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্মরণীয় মূহূর্ত তৈরি করে তিনি দ্রুতই দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একটি বিখ্যাত বিতর্কের সময় প্রতিযোগী লাশন বিয়ন্ড তার উদ্দেশে বলেছিলেন, "এটি রুপলের বেস্ট ফ্রেন্ড রেস নয়", যা পরবর্তী মৌসুমগুলোতে জনপ্রিয় এক ক্যাচফ্রেজে পরিণত হয়।
ড্র্যাগ রেসের বাইরে ক্যালিয়েন্তে অভিনয় জীবন শুরু করেন, ‘ব্রড সিটি’ এবং ‘সার্চ পার্টি’-র মতো টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি ‘পোস’ নাটকে ভেরোনিকা চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকের নিউইয়র্কের এলজিবিটিকিউ বল কালচার তুলে ধরা হয়।
২০১৬ সালে ক্যালিয়েন্তে প্রকাশ্যে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর ২০২১ সালে ‘রুপলের ড্র্যাগ রেস অল স্টারস’-এর ষষ্ঠ মৌসুমে তিনি প্রতিযোগিতা করেন এবং পরে তিনটি সিজনে ‘ড্র্যাগ রেস ফিলিপিন্স’-এ বিচারকের ভূমিকা পালন করেন। মৃত্যুর আগে তার পরিবার জানিয়েছিল, গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তার ডান পায়ের অধিকাংশ অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে।
শহীদ