ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

আমার কথায় প্লিস রেগে যাবেন না: ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আমার কথায় প্লিস রেগে যাবেন না: ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত সংবাদ উপস্থাপক ও রিপাবলিক বাংলার সিনিয়র এডিটর এবং হেড অফ ইনপুট ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ আবারও খবরের শিরোনামে। চটকদার উপস্থাপনা, চিৎকার করে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশন এবং বাংলাদেশ ও ধর্মীয় ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তিনি ইতোমধ্যেই দুই বাংলায় সমালোচিত। অনেকেই তাকে মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে বিচ্যুত বলে মনে করেন।

এ প্রেক্ষিতে, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে নাম না নিয়ে তাকে ব্যঙ্গ করে লেখেন, “ধরুন একটি গাধার নাম দিলেন ময়ূর। আর তাকে কালারফুল করতে পাশে বসালেন রঞ্জন। তাহলে পুরোটা হলো ময়ূর রঞ্জন।”

এই ব্যঙ্গাত্মক পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়, এবং অনেকেই এটিকে “চলতি বছরের অন্যতম সেরা স্যাটায়ার” বলে উল্লেখ করেন।

এমন ব্যঙ্গের জবাবে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষও ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি লেখেন, “ভেবেছিলাম শুধু বাংলাদেশের অনেক চ্যানেল, ইউটিউবারকে খেয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি। আমাকে নিয়ে কনটেন্ট বানিয়ে তারা সব্বাই দুবেলা খাচ্ছে, গাড়ি-বাড়ি করছে। আজ দেখি ঘরে বসে যাওয়া এক অভিনেতার ফ্লপ ক্যারিয়ারকেও পুনর্জীবিত করলাম। নিজের সিনেমার প্রমোশন ভিডিও, কনটেন্ট বা ইন্টারভিউ পোস্ট করলেও এত লাইক কমেন্ট পায় না যতটা আজ পেয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “আমাকে নিয়ে লিখে টু পাইস লাভ যদি কারোর হয়, আমি তার পাশে দাঁড়াতে রাজি আছি। বড় ভালো লাগল। তার ক্যারিয়ার ঘুরে দাঁড়াক।”

পোস্টের শেষ অংশে তিনি মজা করে ফেলুদা ও লালমোহন বাবুর "সোনার কেল্লা"র সংলাপ টেনে এনে লেখেন, “আপনারা চালিয়ে যেতে পারেন। দিব্যি লাগছে। গরমকাল। আমার কথায় প্লিজ রেগে যাবেন না সেকু মাকু সোনা আমার। আয়া মৌসম ঠান্ডে ঠান্ডে ডার্মিকুল কা! লাগিয়ে নেবেন।”

এই পুরো পর্ব নিয়ে দুই বাংলার নেটিজেনদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা, কৌতুক ও বিতর্ক। অনেকেই মনে করছেন, সাংবাদিকতা বনাম সেলিব্রেটি ব্যঙ্গের এই সংঘাত ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নিতে পারে।

আবীর

×