
অভিনেত্রী অহনা রহমান। মডেলিং দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে আসার পর বিভিন্ন টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এ গ্ল্যামারকন্যা। এখনো নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়ে তার অভিনীত ‘ভাঙ্গা সংসার’ শিরোনামেরন একটি নাটক। এতে তিনি রাশেদ সীমান্তের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। নাটকটি পরিচালনা করেন জিয়াউদ্দীন আলম।
এই নাটকে শ্বশুর বাড়ির সীমাহীন নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় গৃহবধূ অহনাকে। এক নির্মম চিত্র নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে অহনা বলেন, ‘এ নাটকে আমাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হয়। এ নাটকটি ভিন্ন এক বার্তা দেবে। দর্শকদের দেখার আহ্বান জানাই। অনেক কষ্ট করে কাজটি করেছি, সবার কাজটি ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস করি।’
এদিকে মাঝে শোনা গিয়েছিল অভিনয়কে বিদায় জানাচ্ছেন অহনা। মাসখানেক আগেই এক সাক্ষাৎকারে ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান এমনটাই বলেছিলেন। ২০২৫ সাল থেকেই মিডিয়াতে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন। একটা সময়ে পুরোপুরিই বন্ধ করে দেবেন এমনটাই ছিল তার ভাষ্য।
পরে ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবের মক্কায় যান। সেখান থেকে ফিরেই নিজের আমূল পরিবর্তন আনেন এই অভিনেত্রী। পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনেও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা মেলে অহনার। এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, ওমরাহ পালন করে আসার পরে বোরকা, হিজাব পরেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তিনি। যে কারণে আগামীতেও এমন পোশাকই পরিধান করতে চান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের পোশাক-হিজাব নিয়ে কথা বললেন, ‘নাটকের বাইরে আমি মাথার কাপড় ফেলতে চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। যে কারণে ইন্টারভিউ দিতে গেলেও চেষ্টা করি মাথায় কাপড় রাখার। অহনা বলেন, ‘আমার হিজাব পরার বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। যে কারণে এসব এখন আর দেখারই চেষ্টা করি না।’ আক্ষেপ প্রকাশ করে অহনা বলেন, ‘নায়িকাদের পায়ে পায়ে দোষ। হিজাব পরে অ্যাওয়ার্ড নিতে গেলেও দোষ, বডিকাউন্ট পরে কাজ করলে দোষ, মাথায় কাপড় দিয়ে কাজ করলেও দোষ। তাই এসব নিয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না। আরেক সাক্ষাৎকারে অহনা বলেন, ‘যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করতে যায়নি, তারা বুঝবে না এই অনুভূতিটা কেমন। তবে আমার গুসবাম্পস হয়েছে।’
এই অভিনেত্রী জানালেন, মানসিক প্রশান্তির জন্য তিনি আবারও সৌদিতে যেতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি আবারও ওমরাহতে যেতে চাই। এবারও হয়তো যাব। কারণ আমার অনেক ভালো লেগেছে। যদি কখনো একটু রিল্যাক্স থাকতে চাই, একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। কারণ এত সুন্দর জায়গা, আমার ওমরাহর কয়েক দিনে মন ভরেনি।’
প্যানেল