
ইয়াসমিন লাবণ্য
এ প্রজন্মের শ্রোতা ও দর্শকপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন লাবণ্য। তিনি একাধারে একজন নৃত্যশিল্পী এবং উপস্থাপিকাও। ছোটবেলায় গান ও নাচ শিখেছেন সমান তালে। তার মা সবসময় পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। লাবণ্যই একমাত্র শিল্পী আমাদের মিডিয়াতে যিনি একাধারে গান ও নাচকে সমানতালে ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও আছেন নিয়মিত।
তবে লাবণ্য নিজেকে গানে একটু বেশি ফোকাস করতে চান। লাবণ্য বলেন, গান গাইতেই আমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে মনেরমতো গানই পাওয়া হচ্ছে না। কিছু সিগনেচার গান রেখে যেতে চাই, যে গানগুলো একান্তই আমি না থাকলেও আমার কথাই মনে করিয়ে দেবে। আর পাশাপাশি নাচটাও নিয়মিত করে যেতে চাই।
লাবণ্যর কণ্ঠে সর্বশেষ প্রকাশিত মৌলিক গান ছিল ‘চাইনা হৃদয় ভেঙ্গে যাক’। লাবণ্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সিনিয়র নৃত্যশিল্পী হিসেবে কর্মরত। তিনি মাছরাঙ্গা টিভির প্রচার চলতি অনুষ্ঠান রাঙ্গা সকালের নিয়মিত একজন উপস্থাপিকাও বটে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ থেকে সংগীতে মাস্টার্স করেছেন লাবণ্য। মাস্টার্সে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে আট বছরের নাচের কোর্স সম্পন্ন করার পর ২০১২ সাল থেকে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারে ভরত নাট্যমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
শুধু আধুনিক গান গেয়েই যে তিনি গানে শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছেন, এমন নয়। বেশকিছু সিনেমাতেও তিনি প্লে-ব্যাক করেছেন। যার মধ্যে তার কণ্ঠে গাওয়া জনপ্রিয়তা পাওয়া গান হলো ‘জোছনা পড়ে গলে গলে, ঘুমায় বালুচর’ গানটি। এই গানটি শামীমুল ইসলাম শামীমের পরীমনি অভিনীত ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ সিনেমার গান।