
ছবি: সংগৃহীত
কোনো বিতর্ক ছাড়াই অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণ হলো কেন ফাওয়াদ খান এত জনপ্রিয়। সোমবার দুবাইয়ে ‘আবিরগুলাল’ চলচ্চিত্রের প্রচারে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফাওয়াদ খান ও বলিউড অভিনেত্রী বানী কাপুর। আর সেখানে যেন অভিনেত্রীর চেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়ালেন অভিনেতাই!
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দর্শকদের বড় অংশই ছিলেন নারী প্রভাবশালী ও আমন্ত্রিত ইউএই সাংবাদিকরা। ফাওয়াদ খান যখনই মাইক্রোফোনের দিকে ঝুঁকেছেন, তখনই ভেসে এসেছে সিটি ও করতালির শব্দ।
এক উপস্থাপক মজা করে বলেন, “সে যদি শুধু ‘টমেটো’ আর ‘পেঁয়াজ’ বলেও। তবু সবাই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়বে।” আর বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। অভিনয় নয়, শুধু ফাওয়াদের গভীর কণ্ঠেই যেন একটা সিরিজ বানানো যায়!
তবে সারা অনুষ্ঠানজুড়ে যেভাবে ফাওয়াদ খানকে বাহ্যিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছিল, তা তিনি অত্যন্ত শান্তভাবে সামাল দিয়েছেন। পরিচিত হাসি আর মৃদু কাঁধ ঝাঁকিয়ে যেন জানিয়ে দিয়েছেন—সবটাই মজার ছলে নিচ্ছেন।
তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, চেহারার বাইরেও তার একটা সৃষ্টিশীল পরিচয় রয়েছে। “যতক্ষণ দর্শক আমার কাজকেও দেখছে, ততক্ষণ আমি ঠিক আছি,” বলেছেন ফাওয়াদ।
আগামী ৯ মে ইউএইয়ের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘আবিরগুলাল’ চলচ্চিত্রটি লন্ডনে নির্মিত। এটি রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবি, যা আজকের নাটকীয় ও গাঢ় রঙের চলচ্চিত্রের ভিড়ে যেন এক ধরনের প্রশান্তি।
“এখনকার সিনেমাগুলো খুব গাঢ়, খুব নাটকীয়… এই ছবিটা অনেক সহজ ও হালকা। যেন কিছুটা স্বাদের খাবার, হজমে সহজ”—বলেছেন ফাওয়াদ।
অন্যদিকে, বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির বানী কাপুর বলেন, “এই সিনেমায় একধরনের বাস্তবতার ছোঁয়া আছে। খুব বেশি নাটকীয় নয়, তবে মজার—দুই চরিত্রের স্বাভাবিক আচরণেই গল্প এগিয়েছে।”
আধুনিক যুগে ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বানী বলেন, “আমি একটু পুরোনো ধাঁচের মানুষ। আমি বিশ্বাস করি একাগ্রতা আর প্রতিশ্রুতিতে… প্রতিদিনই সেই মানুষটিকে আবার বেছে নেওয়া।”
ফাওয়াদ দুবাইয়ের প্রশংসা করে বলেন, “এটা কেবল দালানকোঠার জন্য নয়, আতিথেয়তার জন্যও স্মরণীয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা খাদ্যগন্তব্যও বটে।”
সবশেষে হালকা হাস্যরসও ছড়িয়ে দেন ফাওয়াদ। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় রহস্য হলো বানীর মতো অভিনেত্রীরা কীভাবে এত পাতলা শাড়ি পরে ঠান্ডার মধ্যে শ্যুটিং করে, আর কাঁপেও না!” বানী ও উপস্থিত দর্শক হেসে উঠলেন, চিরচেনা বলিউড দৃশ্যের সেই ক্লিশে নিয়েই।
শহীদ