.
গুণী অভিনয়শিল্পী জেবুন্নেসা সোবহান টুনটুনির ছেলে এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক নির্ঝর চৌধুরী। দু’জনই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বে¡র স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। যখন মা ও ছেলের আলাদাভাবে কথা হয় কারও সঙ্গে তখন একে অন্যের পরিচয় দিতেও বেশ গর্ববোধ করেন। মা বলেন, নির্ঝর আমার ছেলে। আর ছেলে বলেন, শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী জেবুন্নেসা টুনটুনি আমার মা। জেবুন্নেসা টুনটুনি জানান, ১৯৭৪ সালে বিটিভির এবং ১৯৭৫ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী ছিলেন। যে কারণেই শ্বশুরের ইচ্ছেতে তার ছেলে নির্ঝরকে ছোটবেলায় গান শেখাতে ছায়ানটে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আট বছরের কোর্স সম্পন্ন শেষে নির্ঝর ১৪ বছর শিক্ষকতাও করেছেন। জেবুন্নেসা টুনটুনি বলেন, অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে সংকোচ বোধ হয় আমার। তবে আমি গান গাইতে পারি এটা বলতে বেশি ভালো লাগে। আমার ছেলে খুব ভালো গায় এটা বলতে যেন আরও বেশি গর্ববোধ করি। নির্ঝর বলেন, মাকে নিয়ে যখন কোথাও যাই যখন মাকে দর্শক চিনতে পেরে তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন, এটা আমার কাছে খুব গর্বের মনে হয়। আমি সেই সফল মায়ের সন্তান যেন এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।
জেবুন্নেসা সোবহান টুনটুনি লোকনাট্য দলের হয়ে ২০০০ সালে থেকে মঞ্চে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’, ‘কঞ্জুস’ (২৫০-এরও বেশি শোতে), ‘মাঝ রাতের মানুষেরা’. ‘লীলাবতী আখ্যান’, ‘রাস্তার ছেলে’সহ আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হয়েছেন। টিভিতে প্রথম অভিনয় করেন মামুনুর রশীদের ‘জিম্মি’ নাটকে। সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ গেল ঈদে তার অভিনীত ‘চক্কর’ দর্শকের কাছে প্রশংসিত। এছাড়াও তিনি ‘দহন’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’সহ আরও বেশকিছু ওয়েব ফিল্মেও অভিনয় করেছেন।
অন্যদিকে এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক নির্ঝর চৌধুরী। ২০০৮ সালে প্রথম গানের অ্যালবাম ‘মাটির সুরে’ প্রকাশিত হয় যেখানে তার নিজের লেখা ও সুর করা গান ছিল ‘মনের দুঃখ’। এরপর রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম ‘হৃদয়ে রবি’ ও জি সিরিজ থেকে প্রকাশ পায় ‘চন্দ্র কুহক মায়া’ অ্যালবামটি। ‘পদ্মপুরাণ’, ‘বিফোর আই ডাই’, ‘ফুলজান’ সিনেমায় গান গেয়েছেন নির্ঝর। ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’, ‘বেহুলা’, ‘সরদার বাড়ির খেলা’ এসব সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় যেখানে নির্ঝরের গান আছে। নির্ঝর বর্তমানে কল্পতরু আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
