ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বৈশাখী আবহে জয়া আহসান

আনন্দকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বৈশাখী আবহে জয়া আহসান

জয়া আহসান

দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের পাশাপাশি বাঙালিপনায়ও জীবনটাকে উপভোগ করতে চান এ অভিনেত্রী। অতীতের জীর্ণতাকে ফেলে দিয়ে দেশের মানুষ যখন নতুন আবহে জীবনকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত, ঠিক সে সময়টাকেও জয়া পুরোপুরি আর দশজনের মতো করে নিজেকে মেলে ধরেছেন সংস্কৃতির ঐতিহ্যধারায়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে তাই নিজের মতো করে বরণ করে নিলেন এ অভিনেত্রী। নতুন বছর, নতুন উদ্দীপনায় পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনের স্বপ্নে বিভোর এখন সবার হৃদয়। জরা-জীর্ণতাকে পাশ কাটিয়ে ধরাকে অগ্নিস্নানে শুচি করার প্রত্যয় সবার কণ্ঠে। সেইসঙ্গে এদিন খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
আর দশটা বাঙালির মতো জয়া আহসানও নববর্ষের দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করতে পছন্দ করেন। এবার নববর্ষে দেশে আছেন। তাই চুটিয়ে উদযাপন করার সুযোগ ছাড়েননি। আর এসব কিছু নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে।
জয়ার ভাষ্যমতে, তার উৎসব আগেই শুরু হয়েছে। গত দু’দিন ধরেই তার বাড়িতে চলছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, আর এগুলো সবই হচ্ছে বৈশাখী উদযাপন উপলক্ষে।
জয়া বলেন, ১৩ এপ্রিল (রবিবার) গিয়েছিলাম চৈত্রসংক্রান্তির একটা অনুষ্ঠানে।  যেটা হইচই-তে আমার যে ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটা মুক্তি পেয়েছে, ওই টিমের তরফে আয়োজন করা হয়। সন্ধে ৭টায় ছিল সেই অনুষ্ঠান। এরপর রাত ১২টা থেকে গুলশানের সাহাবুদ্দিন পার্কে ছিল আলপনা আঁকার অনুষ্ঠান। সেখানে ছিলাম। ওখানে জলের গান, বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ড মিউজিক, বাউল গানসহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে আমি ছিলাম। কারণ, আমি মনে করি এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি করে হওয়া উচিত। কারণ, এটা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। বাংলা সংস্কৃতিকে এভাবেই আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই আমি ওখানে ছিলাম। নববর্ষে মেলার আয়োজন হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে জয়া এবার শহুরের কোলাহলপূর্ণ মেলা থেকে একেবারে হাজির হন গ্রামের  বৈশাখী মেলাগুলোতে।
এ বিষয়ে জয়া বলেন, আমি মনে করি, এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই এবার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যে মেলাগুলো থেকে আমার কাছে আমন্ত্রণ এসেছে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ১৪ এপ্রিল সকালেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মেলায় যাই। সেখানে ইলিশ-পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম।
শুধু ঘুরছেনই না, এই অভিনেত্রী যে কবজি ডুবিয়ে খাচ্ছেন সেটাও বলে দিলেন। তিনি বলেন, খাওয়াদাওয়া চলছে কয়েকদিন ধরেই। নববর্ষ উদযাপন তো প্রায় ৪-৫দিন ধরে চলছে। গতকাল যেমন আমি নিজেই রান্না করেছিলাম। মেন্যুতে ছিল ইলিশ মাছের ল্যাজ ভর্তা, লাল চালের পান্তা, ইলিশ মাছ, নারিকেল ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, আম ডাল। আর হাতে তৈরি রসগোল্লা।
নববর্ষের দিনের খাবার আয়োজন নিয়ে জয়া বলেন, নববর্ষেও পান্তা ভাত তো ছিলই। আর সেটা শুকনো লঙ্কা আর পেঁয়াজ দিয়ে জমিয়ে মাখা হয়। ওটাই স্পেশালিটি (হাসি)। আবার দই পান্তাও হয়। বিশেষ দিনগুলোতে আমিই রান্নাবান্না করি।
বলা প্রয়োজন, কিছুদিন আগেই জয়া আহসান অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’ মুক্তি পেয়েছে হইচইতে। এখানে তার চরিত্র (রুনা লায়লা) দারুণ পছন্দ করেছে দর্শক।

×