ছবি: সংগৃহীত
মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, কারণ তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। ২০১২ সালের একটি মামলায় তাকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হলেও, তিনি তা এড়িয়ে যান। ফলে জামিনযোগ্য ধারায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এনআরআই শিল্পপতি ইকবাল শর্মার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিনেতা সাইফ আলি খান, শিল্পপতি বিলাল আমরোহি এবং মালাইকার ভগ্নীপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই ঘটনায় মালাইকা অরোরাকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল।
সম্প্রতি ১৩ বছর পর সেই মারপিটের মামলার বিচার শুরু হয়েছে। মামলায় গত ২৯ মার্চ আদালতে মালাইকা অরোরার বোন, অভিনেত্রী অমৃতা অরোরা তার বয়ান দেন। তিনি জানান, তারা রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করছিলেন, হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে চিৎকার করে "চুপ করো!" বলেন, যা সবাইকে চমকে দেয়। সাইফ আলি খান তখন ওই ব্যক্তির সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি এবং ওই ব্যক্তি রেস্তোরাঁ থেকে চলে যান।
এছাড়া অমৃতা অরোরা বলেন, কিছুক্ষণ পর সাইফ যখন ওয়াশরুমে যান, তখন তারা শুনতে পান তর্কাতর্কির আওয়াজ, যার মধ্যে সাইফের গলাও ছিল। পরে, ওই ব্যক্তি আচমকাই তাদের ব্যক্তিগত জায়গায় ঢুকে সাইফের গায়ে হাত তোলেন। সাইফ আলি খান দাবি করেন, ইকবাল শর্মা তাদের টেবিলে এসে নারীদের উত্ত্যক্ত এবং গালিগালাজ করেন, যা থেকেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
২০১৪ সালে এই ঘটনায় সাইফ আলি খান, শাকিল লাদাখ এবং বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে সাইফের বিরুদ্ধে মামলা হয়, যা পরে ২০১৯ সালে খারিজ হয়ে যায়। ২০২৩ সালে সাইফ আলি খান বেকসুর খালাস হন। তবে মামলার বিচার এখনও চলছে এবং সেসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার আগে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের গুরুত্ব রয়েছে, তাই মালাইকা অরোরাকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
শিহাব
