
শোবিজ অঙ্গন
বছর দেড়েক আগে হামাসের হামলার বদলা নিতে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ওই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলিরা। যেখানে দিনে দিনে কেবল দীর্ঘ হয়েছে লাশের সারি। বেড়েছে আহতদের আর্তনাদ, উঁচু হয়েছে ইমারতের ধ্বংসস্তূপ।
এই হামলার বিরুদ্ধে বছরখানেক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিরোধী মিছিল হয়েছে, নানা প্রান্তের মানুষ যে যার শহরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে, হয়েছে যুদ্ধবিরতিও। কিন্তু সেই বিরতি ভেস্তে গিয়ে আবারও রক্তাক্ত হয়েছে গাজা।
এই গণহত্যার প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন দেশের নাটক-সিনেমা-সংগীত জগতের মানুষরা। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের কথায়, গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! ফেসবুকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রক্তাক্ত গাজাবাসীর পাশে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছেন এই চিত্রনায়ক।
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ফেসবুকে তার লেখা শুরু করেছেন এভাবে-আমি যখন এই পোস্ট লিখছি ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? আক্ষেপ ও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন সিয়াম। তিনি লিখেছেন, ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি।
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিনেমা ‘জংলি’। ফিলিস্তিনি শিশুদের সঙ্গে ‘জংলি’ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে সিয়াম লিখেছেন, যখন ‘জংলির’ গল্প লেখা হচ্ছিল, তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না?
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও পরীক্ষা বর্জন, অফিস-আদালত বন্ধ রাখার ডাক দিয়ে বিশ্বব্যাপী যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্টার পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
তিনি লিখেছেন, হ্যাঁ! অবশ্যই সংহতি ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিরুদ্ধে।
অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর কথায়, মানুষ না, যেন নিষ্প্রাণ পুতুল।
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজার ছবি প্রকাশ করে অভিনেতা সজল নূর ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, মনুষত্ব কোথায়? এসব কি কোনো মানুষের কাজ হতে পারে? তিনি ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অভিনেত্রী তমা মির্জা কোনো এক শিল্পীর হাতে আঁকা ফিলিস্তিনে হামলার ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে লিখেছেন, এই দৃশ্য পুরো বিশ্বের মুসলিমদের মৃত্যু দৃশ্য।
সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন, বিদায় রাফাহ-গাজার জান্নাতি শহীদরা। শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী আর তাদের নিকৃষ্ট শাসকরা আনন্দে থাকুক জ্বলন্ত জমিনের দোজখে।