
কয়েদির পোশাকে হাতকড়া পরে পুলিশের গাড়ি থেকে যখন নিশান নামলো, তখন চারপাশের সবাই হতচকিত হয়ে যান। সাংবাদিকরা ভিড় করে আছে গাড়িটি ঘিরে। স্লোগান উঠছে, নিশানের ফাঁসি চাই। এমন এক অভিনব পরিকল্পনায় ‘দাগি’র প্রচার করলেন আফরান নিশো। ২৭ মার্চ বিকেলে রাজধানীর গুলশান শূটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির প্রযোজক এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার শাকিল, সহ-প্রযোজক চরকির সিইও রেদওয়ান রনি, নির্মাতা শিহাব শাহীন, অভিনয়শিল্পী তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনিরা মিঠু, সংগীতশিল্পী মাশা ইসলাম, জেফার রহমান, কবি-ঔপন্যাসিক-গীতিকার সাদাত হোসাইন।
মঞ্চে নিশোর হাতকড়া খুলে দেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। হাতকড়া খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশো সেটি শিহাব শাহীনের হাতে লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুরো ঘটনাটা অতিথিদের মধ্যে হাস্যরসের তৈরি করে। আয়োজনে সবশেষে কথা বলেন আফরান নিশো। তিনি বলেন, যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি খুব জরুরি। ভালো প্রস্তুতির জন্য সময় কত লাগল, সেটা ব্যাপার না। সংখ্যার চেয়ে মান বজায় রাখা জরুরি। ভালো কাজ করতে চাইলে অস্থিরতা থাকলে চলে না।
নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, এই গল্পে ক্ষমা বড় একটা বিষয়। সবার আগে এই গল্প চরকিকে শুনিয়েছিলাম। এরপর এসভিএফ আলফা আইকে শোনাই। এটা একজন সাজাপ্রাপ্ত মানুষের জার্নি। শুরু থেকেই এতে নিশোকেই ভেবেছিলাম। কিছু শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু নিশো সব শঙ্কা কাটিয়ে এই জার্নিতে যুক্ত হয়। ‘দাগি’ নির্মাণে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এটি ভীষণ সততার সঙ্গে বানানো একটি সিনেমা।
হাতে হাতকড়া নিয়ে কয়েদির পোশাকে নিশোর ছবি ততক্ষণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, এই প্রচার হয়ত দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে আনতে সাহায্য করবে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো প্রমোশন হবে যখন দর্শকরা সিনেমাটি দেখে ভালো বলবেন। আমার মনে হয় দর্শকরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটা সিনেমা দেখতে পারবেন। চরকির সিইও রেদওয়ান রনি বলেন, আমরা অনেক কনটেন্ট নিয়েই কথা বলি। কিন্তু যখন কোনো প্রজেক্টে যুক্ত হই তখন বুঝতে হবে সেটাতে বিশেষকিছু আছে। আমরা দর্শকদের জন্য কাজ করি এবং বিশেষ এ কাজটি দর্শকদের জন্য উপহার। কথার এক পর্যায়ে দেখানো হয় সিনেমাটির ট্রেলার। অনলাইনে প্রকাশের আগে সংবাদ সম্মেলনে ট্রেলারটি দেখানো হয় প্রথমবারের মতো। নিশান চরিত্রের কারাবাস, সেখান থেকে ফিরে আসা এবং জীবনের একটা লক্ষ্য খুঁজে বের করার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ট্রেলারে।