ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

প্রেম ও প্যারিস

আবু জুবায়ের

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৭ মার্চ ২০২৫

প্রেম ও প্যারিস

নভেরা রহমান প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে আসছিল। তার চোখে ছিল উচ্ছ্বাস, মনে ছিল এক অজানা শঙ্কা। যতটুকু ভয় ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি আকাক্সক্ষা ছিল। এটা তার জীবনের নতুন শুরু। বাংলাদেশের এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা নভেরা, অনেক লড়াই, সংগ্রাম ও স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে আজ এখানে এসেছে। তার স্বপ্ন সাংবাদিকতা পেশায় আন্তর্জাতিকমানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, মানুষের কথা বলা, সত্যের পেছনে ছুটে চলা।
প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে, নভেরা ধীরে ধীরে শহরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। তার চোখে পৃথিবীর এক নতুন দিক খোলার আশ্বাস ছিল, তবে মনে কোথাও এক অজানা শঙ্কা। সে জানতো এখানে জীবনটা তার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে, সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সে প্রস্তুত।
এবার সে নিজেই তার জীবনের পথচলার রচনা লিখবে। কিছুদিন আগেও যা ছিল কল্পনার এক রূপকথা, আজ সেটি তার বাস্তবতা। প্যারিসের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে, তার মনে হচ্ছিল, যেন সে কোনও সিনেমার চরিত্র হয়ে গেছে একটা নতুন শহর, নতুন স্বপ্ন, নতুন মানুষ। সে জানতো, প্যারিসের সীমানা বেয়ে তার যাত্রা শুরু হবে।
প্যারিসের বাতাসে এক অন্যরকম ঘ্রাণ , কিছুটা কফির গন্ধ, কিছুটা বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ, আর পুরনো ইতিহাসের ছোঁয়া। এখানে তার নতুন জীবন শুরু হবে, নতুন পরিচয় তৈরি হবে, কিন্তু সেই পরিচয় তার মনের গভীরে থাকা পুরনো সত্তাকে চাপা দিতে পারবে না হয়তো। তার জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা, তবে চ্যালেঞ্জ অনেক। নিজের পরিচয়ের চেয়ে বড়ো কিছু ছিল তার স্বপ্ন, তার চাওয়া-পাওয়া।
কিন্তু প্যারিস শহরের রাস্তায় নিজের মনের অদৃশ্য পথে, নভেরা জানত যত কঠিন কিছুই হোক, সে এগিয়ে যাবে। তার কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব ছিল না।
নভেরা সবে প্যারিসে পৌঁছেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসের প্রথম দিন। ছোট শহরের মেয়ে, বিদেশে একা। প্যারিসের এই বিশাল ক্লাসরুমে তার জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। চারপাশে ফরাসি ভাষায় কথা বলার শব্দ, তার মনোযোগে বারবার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছিল। এই শহরেই তাকে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে। আর সেই স্বপ্নের দিকে হাঁটা শুরু করেই সে প্রথমবারের মতো একজন একজনের সঙ্গে  পরিচিত  হল। লুকাস মার্টিন।
লুকাস ছিল একেবারে আলাদা। সে ছিল ফটোজার্নালিজম পড়তে আসা এক ফরাসি যুবক, যে প্রতিটি মুহূর্তে তার ক্যামেরায় পৃথিবীকে বন্দী করত। তার এক্সপ্রেশন, তার দৃষ্টি, এমনকি তার হাসিটুকু যেন কোনো গল্পের মতো। নভেরা ধবধবে  ফর্সা ছেলেটার দিকে নিজের অজান্তেই বারবার তাকায়। এতো সুন্দর চোখ। চুলগুলো বাদামী রঙের।
লুকাস যখন নভেরার পাশের চেয়ারে বসলো, তখন নভেরার মনে হয়েছিল, কিছু একটা অন্যরকম হবে। তার জীবনে এমন কিছু ঘটবে, যা সে আগে কখনো অনুভব করেনি।
‘নতুন এসেছো?’ লুকাস তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল।
নভেরা একটু মৃদু হাসল, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে। তুমি?’
‘লুকাস মার্টিন। আমি ফটোজার্নালিজম পড়ি।’
নভেরা খানিকটা অবাক হল। ফটোজার্নালিজম এটা তো তারও একটি আগ্রহের জায়গা। সে ভাবছিল, যদি একদিন সে নিজেও সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছবির মাধ্যমে পৃথিবীকে তুলে ধরতে পারে!
‘ওহ, ফটোগ্রাফির প্রতি আমারও আগ্রহ রয়েছে!’ নভেরা উত্তর দিল।
লুকাস মুচকি হাসলো। ‘তাহলে আমাদের বেশ ভালো বোঝাপড়া হবে!’
ক্লাস শেষ হওয়ার পর, তারা একসঙ্গে ক্যাফেতে বসেছিল। দুজনের মধ্যে কথোপকথন চলছিল। লুকাস আর নভেরার মধ্যে কিছু অদ্ভুত বন্ধুত্বের সূচনা হয়ে গেলো, যার অনুভূতি দুজনেই যেন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছিল। আর এভাবেই নভেরা বুঝতে পারল, তার জীবন এবার অন্য একটি পথে বাঁক নিতে চলেছে।
নভেরার মনে হয়েছিল, এখানে, প্যারিসে, সে নিজেকে খুঁজে পাবে। কিন্তু তার পাশেই যেন একজন অন্য মানুষ, একজন আলাদা দুনিয়া, অপেক্ষা করছে।
তারপর একদিন, সেক্র কুরের নিচে তারা বসে কফি পান করছিলো। শহরের সেই অদ্ভুত শীতল বাতাস, তন্দ্রা, আর চারপাশের জনতা যেন তাদের একান্ত আলাপে আরও গভীর করে তুলছিল।
লুকাস হঠাৎই বলল, ‘তুমি কেমন জীবন চাও?’
নভেরা একটু সময় নিয়ে উত্তর দিল, ‘আমি চাই স্বাধীনতা, নিজের পরিচয়, আর একটা ভালোবাসার মানুষ যে আমাকে বোঝে।’
লুকাস মুচকি হাসি দিয়ে বলল, ‘তাহলে আমি কি সেই মানুষ হতে পারি?’
নভেরা কিছু না বললেও, তার হৃদয়ে একটা অদ্ভুত স্পন্দন অনুভব করেছিল। তার কাছে, লুকাসের দিকে তাকিয়ে থাকা ছিল এক নতুন যাত্রা শুরু হওয়ার মতো।
আর এই প্রশ্নেই নভেরা জানতে পেরেছিল তার জীবনটা আর আগের মতো থাকবে না।
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের  ক্লাস,  অ্যাসাইনমেন্ট, আর প্যারিস শহরের মধ্যে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছিল নভেরা। কিন্তু সে জানতো, আসল জীবনের গল্পটা শুরু হতে যাচ্ছে তার বন্ধুত্ব লুকাসের সঙ্গে আরও গভীর হতে চলেছে।
একদিন, সেইন নদীর ধারে তারা দুজনে হাঁটছিল। সন্ধ্যার আলো, নদীর কলকল শব্দ, আর প্যারিসের রোমান্টিক পরিবেশ সবকিছু যেন এক মায়ায় ভরা ছিল।
‘তুমি কেমন জীবন চাও?’ লুকাস আবার প্রশ্ন করেছিল।
নভেরা তাকে নরম  চোখে দেখল। ‘আমি চাই নিজের জীবন, নিজের স্বপ্ন সেই সঙ্গে আমি চাই একজন এমন মানুষ যে আমার পাশে থাকবে। যে আমাকে বুঝবে।’
লুকাস একটু চুপ থাকলো। তারপর ধীরে ধীরে তার হাতটি নভেরার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘তোমাকে ছুঁতে চাই।’
নভেরা একটু থমকে গেল, তারপর আস্তে আস্তে তার হাতটি লুকাসের হাতের মধ্যে দিল। সেই মুহূর্তে যেন পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। দুজনের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছিল। প্যারিসের মমর্থের পাহাড়ের উপর দুই প্রান্তের মানুষের ঠোঁট সিক্ত হয়ে গেলো। নভেরা চোখ বন্ধ করে ছিলো অনেকক্ষণ। ফরাসী চুম্বনের মাত্রা এতো তীব্র হতে পারে সেটা আগে বুঝতে পারেনি। এমন দশ মিনিট অনবরত চুম্বন  শেষে নভেরা দেখলো লুকাসের চোখ লাল হয়ে গেছে। এরপর তাদের মধ্যে এক স্পর্শের অমোঘ ন্ধন তৈরি হয়েছিল, যেখানে তাদের সম্পর্কের গতি অন্য এক ধারায় নিয়ে যায়। লুকাস আর নভেরার সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছিল। সেই  রাতেই, সেইন নদীর ধারে হাঁটতে গেলো ওরা, শীতের রাতে তারা একে অপরকে আরও ভালোভাবে অনুভব করল।
প্রথম চুম্বন, ছিল এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। তাদের পৃথিবী যেন এক হয়ে গিয়েছিল, তাদের নিঃশ্বাস, তাদের মন, সব কিছু এক হয়ে গিয়েছিল। নভেরা অনুভব করছিল, এটাই তার জন্য এক নতুন জীবন, এক নতুন সূচনা। সম্পর্কটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক এবং আবেগিকও হয়ে উঠছিল। তারা একে অপরকে বুঝতে শুরু করলো।  তাদের মধ্যে অদ্ভুত বন্ধন তৈরি হয়ে গেলো।
তবে, প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে কিছু না কিছু বাধা আসে। নভেরা খুব শীঘ্রই বুঝতে পারল, লুকাস তাকে ভালোবাসে, কিন্তু পুরোপুরি স্থির নয়। লুকাসের জীবনে ছিল একাধিক কর্মকাণ্ডে বিভাজিত, ছবি তোলা, নতুন নতুন জায়গায় যাওয়া সে কোনো স্থানে থিতু হতে চায় না। নভেরা চায় একটা ভবিষ্যত, একটা স্থিতি।
একদিন, নভেরা লুকাসের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাল। তার মনে অদ্ভুত এক আশঙ্কা ছিল, কারণ সে জানত, লুকাসের ভ্রমণ আর তার নিজের জীবনের পথ এক হওয়ার দিকে যাচ্ছে না। আর সেই আশঙ্কাই  এবার যেনো সত্যিতে  রূপ নিতে যাচ্ছিল।
‘আমি সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে ছবি তুলতে যাচ্ছি,’ লুকাস বলল, যেন কিছুটা দ্বিধায়।
নভেরা কিছুক্ষণ চুপ ছিল। তার মনের মধ্যে এক অবর্ণনীয় ভয় তৈরি হচ্ছিল। ‘তুমি যাচ্ছো? আর আমি?’
লুকাস নভেরার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। ‘আমার জীবনটা তোমার চেয়ে আলাদা, নভেরা। আমি এক জায়গায় থিতু হতে পারি না। আমি তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমার পথ অন্যরকম।’ নভেরা তার কণ্ঠরোধ করতে পারছিল না। তার চোখে জল চলে এল। তার স্বপ্ন, তার ভালোবাসা সব কিছু যেন মুহূর্তের মধ্যে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল।
‘তুমি তো বলেছিলে, আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি। আমাদের তো এমন কথা ছিলো না, এমন পরিকল্পনা ছিল না? তুমি কি জানো, আমি কী চাই?’ নভেরা বিক্ষিপ্তভাবে জিজ্ঞেস করেছিল। লুকাসের মুখের মধ্যে এক ধরনের বিব্রত হওয়ার মতো চাহনি ছিল, যেন সে নিজেও জানত না কী করতে হবে। সে চুপ করে রইল।
‘তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে?’ লুকাস বলল, এবারে তার কণ্ঠ ছিল একদম নরম। ‘তবে, আমি ফিরব। তুমি যদি চাও, তো। কিন্তু জানো, আমার জন্য সবকিছু এত সোজা না।’ নভেরা আর কিছু বলতে পারল না। সে চুপ হয়ে এক কোনে বসে থাকল। শহরের বাতাসের মধ্যে লুকাসের কথাগুলো তার কানে বাজছিল। সে জানত, লুকাসকে ভালোবাসা আর নিজের জীবনের পথে চলা একসঙ্গে সম্ভব নয়।
এখানেই তাদের সম্পর্কের হয়তো শেষ দেখাটা ছিল যেখানে ভালোবাসা ছিল, কিন্তু যে পথে তারা যাচ্ছিল, তা একে অপরকে আলাদা করছিল।
এক বছর পরে, নভেরা একদিন তার অফিসে বসে আর্টিকেল লিখছিল। তার মধ্যে প্যারিসের মতো  অদ্ভুত শহর, সেখানে থাকার গল্প, লুকাসের কথা, সমস্ত কিছু একে অপরের মধ্যে মিশে যাচ্ছিল। তার মনটা আজকাল একটু অস্থির হয়ে উঠেছিল, যেন কিছু একটা অসমাপ্ত থেকে গেছে।
এ সময়ই, কেউ একজন বাসার দরজায় কড়া নাড়ল। নভেরা তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে দরজা খুলল। দরোজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল লুকাস। তার চোখে কেমন শূন্যতা, শরীরে ক্ষতচিহ্ন। হাতে ছিল তার ক্যামেরা, যেটি মনে হচ্ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের সাক্ষী। তার মুখের দিকে তাকিয়ে নভেরা বুঝতে পারছিল, সে ফিরে এসেছে, রুগ্ন শরীর দেখে নভেরা কেঁদে ফেল্লো।
‘আমি ফিরে এসেছি, নভেরা,’ লুকাস বলল, তার কণ্ঠে ক্লান্তি স্পষ্ট। ‘কিন্তু তুমি কি এখনো আমাকে চাইবে? তুমি কি এখনো আমার জন্য অপেক্ষা করছো?’
নভেরা কিছু বলল না, তার চোখে অশ্রু জমে ছিল। সে জানত, জীবনের কিছু ভালোবাসা হয়তো মুছে যায়, কিন্তু কিছু ভালোবাসা, কিছু স্মৃতি এমন থাকে যা কখনো মুছে যায় না।
এক সপ্তাহ পর, নভেরা হাসপাতালে গেল। সেখানে, বিছানায় শুয়ে ছিল লুকাস। তার শরীর ছিল ভীষণভাবে ক্লান্ত শ্রান্ত, যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক কষ্ট সহ্য করার পর সে এখন শেষ মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
‘নভেরা,’ লুকাস বলল, ‘আমি জানি, আমার এই শরীর আর বেশিদিন থাকবে না। কিন্তু তুমি যদি চাও, তাহলে তোমার স্বপ্নগুলো পূরণ করো, তুমি যেন সারা পৃথিবীকে দেখাও।’
একে অপরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু নভেরা  জানত, লুকাস এর সময় শেষ হয়ে আসছে। তার চোখে জল, মুখে কোনো শব্দ নেই।
লুকাসের শেষ কথা ছিল, ‘আমার ভালোবাসা তোমার সঙ্গে থাকবে। তুমি নিজের পথে এগিয়ে যাও।’
লুকাস চলে যাওয়ার কিছুদিন পর। নভেরা একা হয়ে পড়েছিল। সে জানতো, তার জীবন আর আগের মতো থাকবে না। জীবনের প্রতিটি রূপের মধ্যে কিছু না কিছু শিখতে হয়। প্যারিসের বাতাস, শহরের উজ্জ্বল আলো আর লুকাসের রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলোর মধ্যে সে এক নতুন শক্তি খুঁজে পেল। নভেরা সিদ্ধান্ত নিলো, সে শুধু ভালোবাসা আর সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন কাটাবে না। বরং সে তার লক্ষ্যগুলোর দিকে এগিয়ে যাবে ফটোজার্নালিজম, সাংবাদিকতা, আর নিজের স্বপ্নের পথে চলবে।
একদিন, নভেরা সেইন  নদীর ধারে হাঁটছিল, আর তার মনে হচ্ছিল, লুকাস তার সামনে। তার সব স্মৃতি, সমস্ত ভালোবাসা সব মনে পড়ছে। লুকাসের রেখে যাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে, নভেরা নতুনভাবে নিজের জীবনকে গড়তে লাগল। প্যারিসের নভেরা তার নতুন জীবন শুরু করল। লুকাসের রেখে যাওয়া ক্যামেরা দিয়ে নভেরা সেইন নদীর ওপর ঝুলে থাকা জোছনা চাঁদের ছবি তুলতে গভীর রাতে এপার্টমেন্ট থেকে  বেরিয়ে পড়লো।

×