
ছবি সংগৃহীত
অবশেষে মুক্ত হয়ে গেল ’দাগি’। শাস্তি কাটিয়ে যেমন দাগি আসামি কারাগার থেকে মুক্ত হয়, তেমনি সেন্সরের পরীক্ষা–নিরীক্ষা পেরিয়ে ’দাগি’ সিনেমা এখন সবার সামনে আসতে প্রস্তুত। ২৪ মার্চ সিনেমাটি পেয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেট। এতে করে ঈদের সিনেমার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে গেল ’দাগি’। দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর দ্বিতীয় এ সিনেমাটি প্রদর্শনে আর কোনো বাধা রইল না।
ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ’দাগি’ সিনেমার টিজার, রোমান্টিক গান, অফিশিয়াল পোস্টার। এসব দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত–দর্শকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ায় সেই আনন্দ আরও বেড়ে গেছে তাদের। কারণ ঈদের দিন থেকে সারা দেশে সিনেমাটি প্রদর্শনে আর কোনো বাধা নেই। সৈয়দপুর, রাজশাহী, ঢাকায় হয়েছে ’দাগি’ সিনেমার শুটিং। সিনেমায় অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে। ’দাগি’ সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং সহ–প্রযোজনায় আছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। শিহাব শাহীন পরিচালিত সিনেমাটি পেয়েছে ইউ গ্রেডের (ইউনিভার্সাল গ্রেড) সেন্সর সার্টিফিকেট। অর্থাৎ সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন ’দাগি’ সিনেমা। সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে সিনেমার প্রযোজক এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড–এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ’ঈদে সবাই মিলে যেন সিনেমা উপভোগ করতে পারেন, তেমন সিনেমাই আমরা করতে চেয়েছি এবং সেটি করতে পেরেছি বলে মনে হয়। কারণ সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড ’দাগি’ সিনেমাকে ’ইউ গ্রেড’ দিয়েছে।’
শাহরিয়ার শাকিল আরও বলেন, ”যে কোনো সিনেমারই সার্থকতা হলো সিনেমাটি দর্শক পেল কিনা। একটা সিনেমা কাজ করবে কিনা সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে ফ্যামিলি অডিয়েন্সের ওপর। আমি বলব, ’দাগি’ দুর্দান্ত গল্পের সিনেমা। ঈদে সপরিবারে দেখার মতো সিনেমা। ’দাগি’–তে যে গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে, যেভাবে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, আমার বিশ্বাস দেশের দর্শকরা এ ধরণের গল্পই দেখতে চায়।
’দাগি’ মুক্তি বা প্রায়শ্চিত্তের গল্প বলে জানিয়েছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি। জানান, দাগি গল্প নির্ভর সিনেমা, দেখার মতো অভিনয়ের সিনেমা। এমন গল্প দেশে হয়নি বললেই চলে। এর ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, ”নিশান–জেরিনের ভালোবাসা–বিরহের গল্প ’দাগি’।
একই সঙ্গে ’দাগি’ চরিত্র দুটির অনুশোচনার গল্পও। প্রকাশিত টিজার এবং রোমান্টিক গানে দর্শকরা এটা বুঝতে পেরেছে আশা করি। আবার এখানে কারাগারের ব্যাপারও আছে। আর জেলের দাগ একবার যার লাগে, বাকি জীবন সে দাগি হয়ে থাকে। এখান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ক্ষমার বিষয়টি। যা আমাদের জীবনে তো বটেই, ধর্ম ও মানবতারও অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তাই আমরা বলছি, ’দাগি’ মুক্তি বা প্রায়শ্চিত্তের গল্প।’
’দাগি’ সিনেমার সহ–প্রযোজক হিসেবে আছে চরকি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেদওয়ান রনি জানান, যে কোনো ভালো কাজ করতে গেলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা লাগে। ’দাগি’–তে সেটিই হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদে দল বেধে কিংবা পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার চল গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই দর্শকরা যেন বার বার প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসেন সেটা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখে আসছি এবং তার প্রমাণও রেখেছি আমরা। দর্শকদের বলতে চাই, গল্প, নির্মাণ, অভিনয় মিলিয়ে সুন্দর একটি কাজ হয়ে উঠেছে ’দাগি’। ঈদের আনন্দে সিনেমাটি দেখুন পরিবার–বন্ধু–স্বজনদের নিয়ে।
আশিক