
ছবি : জনকণ্ঠ
‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট অ্যাক্টিভ হচ্ছে দিনের পর দিন, সময় তো লাগবেই।’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, “হালকা থ্রেড ছিল, যার ফলে আমরা পিকনিকটা ড্রপ করে দিয়েছি। শিল্পীদের সাথে একটু খাবার শেয়ার করব।”
এফডিসিতে তার ভূমিকা জানিয়ে বলেন, “এফডিসির ব্যস্ততার পিছনে আমার একটু ভূমিকা আছে। ঈদে একটা মানবিক সহায়তা আমরা রাখবো। আল্লাহর রহমতে আমি বলতে চাই যে, আপনারা অনেকেই জানেন যে, একটা পিকনিক কমিটি হয়েছিল, ওইখানে আমাকে কনভেনার করা হয়েছিল। সার্বিক অবস্থার কারণে, অনেকের মন মানসিকতার কারণে, পিকনিকটা আমরা এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলাম। হালকা থ্রেড ছিল। যার ফলে আমরা পিকনিকটা ড্রপ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলাম, যেহেতু একটা অপরচুনিটি আছে, একটা ধর্মের মাস, রমজান মাস চলে আসছে, সেই হিসেবে আবার একটা কমিটি করলো মাননীয় প্রেসিডেন্ট। আমাকে সেখানেও কনভেনার করলো। ইফতার পার্টির আমি আহবায়ক। তো আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমরা শিল্পীরা সবাই একত্র হব। শিল্পীদের সাথে একটু খাবার শেয়ার করব। ভালোবাসা শেয়ার করব। গতকালকে আমরা এফডিসিতে শিল্পীরা যখন কার্ড নিতে আসছে, তখনই যে উৎসব তাতেই আমি সাকসেসফুল মনে করেছি এবং আজকে ইনশাল্লাহ আপনাদের সহায়তায়, রাত ৯-১০ টা যখন হয়ে যাবে, যখন সাকসেসফুল ভাবে এই অনুষ্ঠানটি শেষ হবে, তখন ভাববো আমি আমি সাকসেসফুল হয়েছি। এজন্য আমি আসলে পিকনিকটা পিছিয়ে দিয়েছি। আমার কমিটির সাথে কথা বলে যে, এই মুহূর্তে আমরা পিকনিকে না যাই, নানান মানুষ, নানান মনের ওইখানে হয়তো কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করবে, একটা সিন্ডিকেট করবে, এজন্য করিনি।”
আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “তবে এইটা সত্য যে, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট অ্যাক্টিভ হচ্ছে দিনের পর, সময় তো লাগবেই। আর শিল্পীরাও কাজ শুরু করে দিয়েছে, এফডিসি খুবই ব্যস্ত। এখন এফডিসিতে প্রচুর কাজ হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা জেনে থাকবেন বন্ধুরা যে, এফডিসির ব্যস্ততার পিছনে আমার একটু ভূমিকা আছে। সেটা হলো সমস্ত বিল যা আসতো, সব ৫০% করে দিয়েছি আমি। আমি মিটিং এ ছিলাম। ক্যামেরা ভাড়া অর্ধেক, এডিটিং অর্ধেক, লোকেশন ভাড়া অর্ধেক, সব অর্ধেক করে দিয়েছি। একদম অফিসিয়ালি এটা মিনিস্ট্রিতে পাশ করে আসছে।”
এফডিসিতে অনেক কাজ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইদানিং আপনারা এফডিসি দেখবেন, সেট হচ্ছে, ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যস্ত হয়ে গেছে এফডিসি। তো আমরা চাই যে মুভিও হবে, প্রচুর মুভি হবে এবং শিল্পীদের কর্মসংস্থান হবে। আমরা সেই আশায় কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের একটা ঈদের পরিকল্পনা, এটা ঈদ, ঈদে একটা মানবিক সহায়তা আমরা রাখবো যে, শিল্পীরা নিজের থেকে ঈদটাকে পালন করতে পারে না। তার সাপোর্ট লাগে, সেটা আমরা করবো ইনশাল্লাহ, সেটা আমরা মিটিং এ ক্লিয়ার করেছি।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=i-zi1RqStsc
মো. মহিউদ্দিন