ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

শহীদুজ্জামান সেলিম

দুই কন্যার বাবা হিসেবে অত্যন্ত লজ্জিত হই

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১২ মার্চ ২০২৫

দুই কন্যার বাবা হিসেবে অত্যন্ত লজ্জিত হই

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের প্রতিবাদে আলোচিত অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি যখনই ধর্ষণের এসব ঘটনা শুনি তখন বাবা হিসেবে খুবই লজ্জিত হই। কারণ আমি তাদের কষ্টটা অনুভব করি, আমি নিজেও একজন বাবা।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পুরো দেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। ধর্ষণের ঘটনা সমাজে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষত, ছোট থেকে বড় শহরগুলিতে এমন ঘটনা বাড়ছে, যার ফলে নারীরা এবং শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং নারী অধিকার আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। অনেকেই মনে করছেন, দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মোকাবেলা করার জন্য কড়া আইন ও শাস্তি প্রদান করা জরুরি। তবে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশ বাহিনী ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং বিচারকার্য সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে, তবে বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলাগুলি দীর্ঘসূত্রিতায় চলে যাচ্ছে এবং অপরাধীরা সাধারণত অপরাধের শাস্তি পায় না।

এছাড়া, ধর্ষণের শিকারদের নিরাপত্তা ও সহায়তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজকর্মীরা কাজ করছে। তবে, এখনও অনেক নারী এবং শিশুরা ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তাদের সঙ্গে সমাজের পক্ষ থেকে ন্যায্য সহায়তা প্রদান বা তাদের প্রতি সহানুভূতি কম দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য জনগণকে সচেতন করা এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনাও জরুরি। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, পরিবারের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্কুল-কলেজে যৌন শিক্ষা প্রদান করলে এই ধরনের অপরাধের হার কমানো সম্ভব হতে পারে। ধর্ষণের এই পরিস্থিতি সারাদেশে একটি বড় সংকটের রূপ নিতে পারে, তাই এটি প্রতিরোধ করতে একযোগে আইন, সমাজ এবং জনগণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।

 

ফারুক

×