
বলিউডে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বদলেছে, তবে অভিনেত্রী দিয়া মির্জা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কীভাবে নারীদের প্রতি অবহেলা করা হতো। সালমান খানের সঙ্গে অভিনীত ‘তুমকো না ভুল পাইয়েঙ্গে’ ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে দিয়া জানান, তখনকার সময়ে বেশিরভাগ সিনেমার শুটিং নির্ধারিত হতো পুরুষ সহ-অভিনেতার সময়সূচি ও লোকেশনের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে। আজও এমনটা ঘটে, তবে বর্তমানে অভিনেতারা গল্প সম্পর্কে বেশি সচেতন থাকেন। কিন্তু সেই সময় তাদের কাছে পুরো চিত্রনাট্য থাকতো না।
দিয়া বলেন, “আমি তখন ‘তুমকো না ভুল পাইয়েঙ্গে’র শুটিং করছিলাম। পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন পঙ্কজ পারাশর। আমি ভেবেছিলাম, তিনি ‘চালবাজ’ বানিয়েছেন, নিশ্চয়ই চমৎকার পরিচালনা করবেন। সালমান খান ছিলেন নায়ক এবং একজন প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক সিনেমাটি প্রযোজনা করছিলেন। তবে পুরো সিনেমার গল্প বা চরিত্রগুলোর ওপর কোনো মনোযোগ ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “শুটিংয়ের সময় চিত্রনাট্য আমাদের হাতে থাকতো না। কোনো ওয়ার্কশপ, রিহার্সাল বা প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ ছিল না। আমার চরিত্র রাজস্থানের, কিন্তু আমার সংলাপ লেখা হয়েছিল ভোজপুরি ভাষায়। দৃশ্যের সংলাপ আমাকে ঠিক শুটিংয়ের কয়েক মিনিট আগে দেওয়া হতো। আমার পোশাক শুটিং সেটেই তৈরি হচ্ছিল এবং সেটাই আমাকে পরিয়ে দেওয়া হতো।”
চরিত্রের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। দিয়া বলেন, “আমি জানতে চেয়েছিলাম, আমার চরিত্র কেন চনিয়া চোলি পরছে? উত্তরে বলা হলো, ‘তুমি অনেক প্রশ্ন করো, বেশি জানতে চাওয়ার দরকার নেই, যা বলা হচ্ছে, তাই করো।’”
তিনি আরও বলেন, “আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট লেগেছিল তখনকার সময় নারীদের জন্য কোনো জায়গা না থাকার বিষয়টি দেখে। তাঁদের প্রশ্ন করা বা নিজেদের চরিত্রের ভালোটা বোঝার কোনো সুযোগ দেওয়া হতো না।”
সম্প্রতি দিয়া মির্জাকে দেখা গেছে ‘নাদানিয়াঁ’ সিনেমায়, যেখানে ইব্রাহিম আলি খান ও খুশি কাপুর অভিনয় করেছেন।
রাজু