
ছবি: সংগৃহীত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আলামিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর ২টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন আলামিন। এরপর তাকে দ্রুত উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তী সময়ে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। তবে ঘটনার চার মাস পর, ডিসেম্বরে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির অগ্রগতি ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবার আলামিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ জানান, "প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ৭ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে এবং তা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"
এ সময় কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাম্মদ ইব্রাহীম, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নুসরাত