
ছবি : সংগৃহীত
এক সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পলি। কয়েক বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট আয়োজনে দেখা যায় তাকে।
সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে চিত্রনায়িকা পলি বলেন, “আমরা শুধু আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরটা নিজেরই গ্রহণ করা উচিত। মেয়েদের উগ্রতা আমি কখনোই পছন্দ করি না। তো ওপেন সিগারেট খাওয়াটা, আমিও আসলে এটা পছন্দ করি না।”
পলি বলেন, “নারীদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীদের ভিতরে একটা ভ্রান্তমূল ধারণা যে, একটু বয়স হলে বিয়ে হয়ে যাবে। নারীরা আজকে কাজ করবে, নারীরা শিক্ষিত হবে, নারীরাও এগিয়ে যাবে। আমার দ্বারা কতজনের মুখে হাসি ফুটবে, আমার সেখানেই আসলে ফোকাস। সবার মুখে হাসি ফোটানোই আমার মনে হয়, ঈদের প্রকৃত আনন্দ।”
তিনি বলেন, “রমজান মাস, রহমতের মাস, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, কি পরিমাণ শিল্পীদের সমাগম হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমি শিল্পী সমিতির একজন কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে অনেক আনন্দ ফিল করছি। আর এই যে সুন্দর, মিষ্টি মেয়েরা, নায়িকারা আজকে এসেছে, এক একটা ফ্লাওয়ার, আসলে ফ্লাওয়ার দেখতে সবারই ভালো লাগে। আমারও খুব ভালো লাগছে। আসলে প্রত্যেকটা বছর নতুন নতুন রূপে ইফতার পার্টি, বিভিন্ন রূপেই আমরা আয়োজনটা দেখি। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত ইফতার পার্টিটা জমজমাট করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”
সাম্প্রতিক সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিত্রনায়িকা পলি বলেন, “আমি দুঃখিত, কারণ প্রতিনিয়ত এরকম দুর্ঘটনাগুলি চোখের সামনে আসছে। ধর্ষণ হচ্ছে, ছিনতাই হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, আসলে এর পক্ষপাতী আমরা না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বর্তমান যারা দেশ যারা চালাচ্ছেন, দেশে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ, আমরা শুধু আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। আসলে শিল্পী সমিতি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা কখনো দেয় না। যার যা নিরাপত্তা, তাকেই আসলে মানে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব, নিজেরটা নিজেরই গ্রহণ করা উচিত। আমি মনে করি যে, এখন যেহেতু চলচ্চিত্রের, দেশের একটা ক্রান্তিকালের মধ্যে আমাদের জনগণরা আছে, এই মুহূর্তে আমি মনে করি যে, যার যার নিরাপত্তা নিজেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা উচিত।”
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত-সমালোচিত ইস্যু নারীদের সিগারেট খাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “না, মেয়েদের উগ্রতা আমি কখনোই পছন্দ করি। না, এটা খুবই দৃষ্টিকটু, ওপেন সিগারেট খাওয়াটা আমিও আসলে, এটা আমিও পছন্দ করি না। কারণ মেয়েরা থাকবে শালীন। শালীনতা মেয়েদের একটা কি বলবো, একটা অন্যরকম সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ। সেখানে এরকম উগ্রতা, এরকম ওপেন সিগারেট খাওয়া, আসলে এটা আমরা পছন্দ করি না।”
তিনি বলেন, “আসলে শালীনতা বলতে আমি বুঝি হচ্ছে, যেটা মানুষ, যেটা নিয়ে কথা বলবে না। মানুষ আঙ্গুল তুলবে না। আর অবশ্যই সমাজে সেটা বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না। বাংলাদেশের সমসাময়িক দেখা গেছে, টোটাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি নারী।
আমি নারীদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলব যে, নারীদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে। যে যেখান থেকেই পারুক, নারীদের ভিতরে একটা ভ্রান্তমূল ধারণা যে, একটু বয়স হলে বিয়ে হয়ে যাবে। নারীদের সব কাজ শেষ। নারীরা মনেই করে যে, আমার জন্মই হয়েছে বিয়ে, বাচ্চা, এগুলির জন্য।না, নারীরা আজকে কাজ করবে, নারীরা শিক্ষিত হবে, নারীরাও এগিয়ে যাবে, পুরুষদের সমান তালে। আর কোন নারী যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে পরিবার শিক্ষিত হবে, দেশ উপকৃত হবে।”
নারী দিবস সর্ম্পতে তিনি বলেন, “সকল নারীদেরকে বলব, তোমরা যেখান থেকেই পারো, তোমরা নিজেদের পড়াশোনা এবং নিজেদের ক্যারিয়ার জীবনটা ঠিক রেখে, তারপরে তোমরা সামনে এগিয়ে যাবে। আমার দোয়া, তোমাদের জন্য, বাংলাদেশের সকল নারীদের জন্য।”
ঈদের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত ঈদ নিয়ে সেরকম প্ল্যানিং নাই। এরকম সারা বছরই ড্রেস কেনা হয়। আসলে ঈদের জামা কাপড়, এটার ভিতর আসলে ডুবে থাকা আমার আসলে না। আমি আসলে চাই যে, আমার দ্বারা কারা উপকৃত হবে। আমি কতজনকে উপকৃত করতে পারবো। আমার দ্বারা কতজনের মুখে হাসি ফুটবে, আমার সেখানেই আসলে ফোকাস। আমার নিজের জন্য নিজের ঈদ বলতে এখন আর কিছু নাই। সবার মুখে হাসি ফোটানোই আমার মনে হয়, ঈদের প্রকৃত আনন্দ।”
মো. মহিউদ্দিন