
সোনাক্ষী সিনহার ফিটনেসের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ১৮ বছর বয়সে এক বিশেষ মুহূর্তে বদলে যায়। তিনি বলেন, প্রথমবার যখন জিমে গিয়েছিলাম, তখন তিনি ট্রেডমিলে মাত্র ৩০ সেকেন্ড দৌড়ানোর পরই হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাই বুঝিয়ে দেয়, এত অল্প বয়সেই শরীরের এমন অবস্থা হওয়া উচিত নয়। তখনই তিনি নিজের ফিটনেসকে সিরিয়াসলি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথমদিকে, সোনাক্ষী শুধুমাত্র "কুল" দেখানোর জন্যই জিমে যেতেন। কিন্তু ট্রেডমিলে মাত্র আধা মিনিটও টিকতে না পারার অভিজ্ঞতা তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এরপর তিনি শুধু ভালো দেখানোর জন্য নয়, বরং নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা ভেবেই ফিটনেস জার্নি শুরু করেন।
এই উপলব্ধির পর, বলিউডে অভিষেকের আগে প্রায় ৩০ কিলো ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। যদিও উল্লেখযোগ্য এই ওজন কমানোর পরও তাঁকে বহুবার ট্রোল হতে হয়েছে। তবে তিনি কখনও মন ভাঙেননি, বরং নিজের সুস্থতাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছেন। তিনি বারবার বলেছেন, নিজেকে ভালোবাসাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাইরের সমালোচনা কখনও নিজের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে দেওয়া উচিত নয়।
সোনাক্ষীর এই রূপান্তর আমাদের শেখায়, বাস্তবসম্মত ফিটনেস গোল সেট করা এবং ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা কতটা জরুরি। তাঁর জার্নি অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা, যা প্রমাণ করে— দৃঢ় সংকল্প আর আত্মবিশ্বাস থাকলে, যেকোনো স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন সম্ভব।
সাজিদ