
ভারতের কণ্ঠশিল্পী কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে বরাবরই মুগ্ধ শ্রোতারা। '১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’, ‘খামোশি, দ্য মিউজিক্যাল’, ‘বোম্বে’, ‘হাম দিল দে চুকে সানাম'-এর মতো নব্বইয়ের দশকে একের পর এক গানে মাতোয়ারা বলিউড।
কিন্তু কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে নিয়ে অনেক কথাই রয়ে গিয়েছে গোপনে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে অনেক ওঠা-নামা, যা শুনলে আপনি চমকে যাবেন।
মু্ম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী ছিলেন কবিতা। কলেজ ফেস্টে আলাপ রাণু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
গান শুনে মুগ্ধ রাণু কবিতাকে নিয়ে গিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা হেমন্ত মুখোপাধ্যারে কাছে। তিনি কবিতাকে নিজের অনুষ্ঠানে গাইবার সুযোগ করে দেন।
হিন্দি ছবিতে তাঁর প্রথম বড় ব্রেক ১৯৮৫ সালে, ‘প্যায়ার ঝুকতা নহি’ ছবিতে। এরপর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘ইয়ারানা’, ‘অগ্নিসাক্ষী’, ‘খামোশি’-র মতো ছবিতে তাঁর গান ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের তলায় জমি শক্ত করে।
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। অজস্র পুরস্কার, অসংখ্য শিরোপা পেয়েছেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। বলিউডি গানের দুনিয়ায় তিনি তখন খ্যাতির শীর্ষে। ঠিকই করে নিয়েছিলেন, বাকি জীবনটা কাটাবেন সঙ্গীতসাধনা করেই।
কিন্তু চল্লিশে পৌঁছে আচমকাই অন্য খাতে বইতে শুরু করে জীবন। মনের মানুষকে বিয়ে করে রাতারাতি বিয়ের রাত থেকেই চার সন্তানের মা হয়ে যান কবিতা কৃষ্ণমূর্তি।
হঠাৎ করেই জীবন জড়িয়ে ফেললেন ডি এল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে। যশস্বী এই বেহালাবাদকের সঙ্গে আগে অনুষ্ঠান করেছেন কবিতা। ১৯৯৯ সালে তাঁর সঙ্গে বাঁধলেন গাঁটছড়া। দু’জনের বয়সের ব্যবধান ১১ বছর।
সুব্রহ্মণ্যম-এর প্রথম স্ত্রী ভিজি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ১৯৯৫ সালে। তার চার বছর পরে নিতান্ত সাদামাটা অনুষ্ঠানে তিনি বিয়ে করেন কবিতাকে। স্বামীর আগের পক্ষের চার সন্তানকে পরম যত্নে আপন করে নিয়েছেন কবিতা।
বিয়ের পরে কবিতার জীবন আমূল বদলে যায়। বিয়ের পর মুম্বইয়ের পাট তুলে তিনি স্থায়ী ভাবে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।সুব্রহ্মণ্যমের চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে কোনও না কোনও ভাবে সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত। আর এক ছেলে নারায়ণ পেশায় চিকিৎসক। ঘর সংসার সামলে এখনও গানের জগতের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কবিতা।
ফুয়াদ