ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

আয়নাঘর নিয়ে নির্মিত

‘নাস্তা’ দেখে রক্তবমি করবে স্বৈরশাসকরা!

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১১:২৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘নাস্তা’ দেখে রক্তবমি করবে স্বৈরশাসকরা!

ছবিঃ সংগৃহীত

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাওয়া বহুল প্রতীক্ষিত শর্টফিল্ম ‘নাস্তা’ দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গুণী পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ নির্মাণ করেছেন ৯০ মিনিটের এই চলচ্চিত্র, যেখানে অভিনয় করেছেন আরশ খান, শফিক আল মামুনসহ আরও অনেকে।

গল্প ও প্রেক্ষাপট:

শর্টফিল্মের শুরুতেই বাজতে থাকা— "ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা..."
এই লাইনই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে জাগিয়ে তোলে। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে জুলাইয়ের গণআন্দোলন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনের নির্মমতা, আয়নাঘরের ভয়াবহতা, একজন বাবা-হারা হোম টিউটরের জীবনসংগ্রাম ও পারস্পরিক সম্পর্কে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব।

সমাজে গৃহশিক্ষকদের হেয় করে দেখার প্রবণতা নতুন কিছু নয়। অর্থের প্রয়োজনে একজন মেধাবী ছাত্র টিউশন করলেও তাঁকে বারবার অসম্মান ও অপমানের শিকার হতে হয়। পরিচালক বান্নাহ নিখুঁতভাবে এই সামাজিক বাস্তবতাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

২৪-এর আন্দোলন ও আয়নাঘর:

শর্টফিল্মে ২৪-এর আন্দোলনের একটি খণ্ডচিত্রও তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে মানুষকে আয়নাঘরে বন্দি করার বাস্তব চিত্র স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। গণঅভ্যুত্থানের রক্তক্ষয়ী মুহূর্তগুলোও এখানে জায়গা পেয়েছে।

প্রতিক্রিয়া:

‘নাস্তা’ শুধু একটি শর্টফিল্ম নয়, বরং একটি যুগের কথা বলা এক সাহসী নির্মাণ। বিশেষ করে আয়নাঘরের ভয়াবহতা এবং আন্দোলনের প্রেক্ষাপট যারা দেখেনি, তাদের জন্য এটি একটি দালিলিক চিত্র হয়ে থাকবে। অভিনেতাদের সাবলীল অভিনয়, বাস্তবধর্মী চিত্রনাট্য এবং শক্তিশালী বার্তার কারণে এই শর্টফিল্ম দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে।

পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ এবং তাঁর টিম এই সময়ের সত্যিটা সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। অনেকেই বলছেন,  এই সিনেমা দেখলে নিপীড়ক স্বৈরশাসকদের সত্যিই রক্তবমি হবে!

আসিফ

×