
.শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ একজোড়া জুতা নাটকের দৃশ্য
থিয়েটারচর্চায় নিবেদিত এক নাট্যদল প্রাচ্যনাট। নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠা নাট্যদলটি ঢাকার নাট্যমঞ্চে এনেছে দর্শকসমাদৃত বেশ কিছু প্রযোজনা। সেই সুবাদে নাট্যপ্রেমীদের কাছে রয়েছে প্রাচ্যনাটের নাটকের বিশেষ কদর। মঞ্চশিল্পী তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দলটির। এই বাইরে রয়েছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইন নামের নাটকের স্কুল। ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গড়ে ওঠা নাট্যদলটি সময়ের স্রোতধারায় এ বছর পদার্পণ করেছে প্রতিষ্ঠার ২৯ বছরে। সাফল্যের সে উদ্যাপনে চলছে প্রাচ্যনাটের মাসব্যাপী কর্মসূচি। বিস্তৃত সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো ‘এক জোড়া জুতা’ শিরোনামের নাটক। আর রবিবার সন্ধ্যায়ও একই ভেন্যুতে প্রযোজনাটির প্রদর্শনী হবে। নাটকটি লিখেছেন মেহরাব রহমান। নির্দেশনা দিয়েছেন ইমামুল হক। নাটকটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে কানাডার টরন্টো থিয়েটার ফোকস এবং প্রাচ্যনাট।
এক জোড়া জুতা হারানোর গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে প্রযোজনাটির কাহিনী। জুতা হারানোর পর চারদিক শূন্য হয়ে যায়, মাতৃভূমির উর্বর মাটিও শূন্য পড়ে থাকে, শূন্য রয়ে যায় কৃষকের ঘর থেকে তারুণ্যের সোনালি স্বপ্ন। পুরো নাটকজুড়েই কিভাবে এ জুতা হারিয়েছে সেটাই খুঁজে বেড়ান শিল্পীরা। সবাই প্রতীক্ষায় থাকে কখন খুঁজে পাওয়া যাবে সেই এক জোড়া জুতা। এই জুতা খোঁজার মধ্য দিয়ে স্বজন হারানো ব্যথার নানান ব্যঞ্জনা উঠে এসেছে নাটকটিতে।
প্রযোজনাটির সংগীত পরিকল্পনা করেছেন নাওয়ার আশিকুজ্জামান এবং আশিকুজ্জামান টুলু। মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
উল্লেখ্য, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি জুড়ে নাটক, অর্কেস্ট্রা, গান, পাপেট শো’সহ বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করেছে প্রাচ্যনাট। ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে। এদিন বেলায় ৩টায় শিশুদের জন্য থাকবে চিল্ড্রেন থিয়েটার শো, পাপেট শো এবং কর্মশালা। বিকেল ৫টায় থাকবে পথনাটক প্রদর্শনী এবং লোকশিল্পীদের গানের পরিবেশনা। এছাড়া চিত্রশালা মিলনায়তনের উন্মুক্ত গ্যালারিতে প্রাচ্যনাটের চিত্রশিল্পী ও আলোকচিত্রীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
জাদুঘরে বাংলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতা : শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার শিশু-কিশোরদের সুন্দর বাংলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘ক’ বিভাগ (শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি) থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবিয়া হোসাইন তেহজীব, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আফিজা আম্তুল্লাহ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আহাদি। ‘খ’ বিভাগ (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে শহীদ বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট আনোয়ার গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী নাবিহাহ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বর্ণ বল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা। ‘গ’ বিভাগ (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শাহিরা বিনতে মুনির, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে শহীদ বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট আনোয়ার গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী মুনাওয়ারা মালিয়াত এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সুবাহা তাবাচ্ছুম। ‘ঘ’ বিভাগ (নবম ও দশম শ্রেণি) থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী প্রতীতি মৃধা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিল রেজা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপরাজিতা সাহা।