ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

অনবদ্য মিথিলা

নাজমুন নাহার নিশি

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অনবদ্য মিথিলা

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

দুই বাংলার চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে রাফিয়াত রশিদ মিথিলার উপস্থিতি সরব। গত শুক্রবার ভালোবাসা দিবসে নতুন সিনেমা নিয়ে এসেছেন তিনি। সরকারি অনুদানের এ সিনেমার নাম ‘জলে জ্বলে তারা’। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনয়শিল্পী মিথিলা অভিনয় করেছেন। ‘কাজলরেখা’র পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল তার অভিনীত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাটি। তাও ভালোবাসা দিবসে। এ ছবির সঙ্গে এই দিবসের যোগসূত্র কী? সেটি নিয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, গত বছর আমার ছবি ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেয়েছিল। এ বছর ‘জলে জ্বলে তারা’। আমি খুব কম কাজ করি। পরপর দুই বছর দুটি ছবি মুক্তি পাওয়াটা আনন্দের বিষয়। ভালোবাসা দিবসে ছবিটি মুক্তির একটা যোগসূত্র অবশ্যই আছে। এই ছবি মূলত একজন ভাসমান নারীর সংগ্রামের গল্প হলেও ছবিতে খুব মিষ্টি একটি প্রেমের অধ্যায় আছে, যা পুরো ছবিটিতে থাকে। ছবিটির শূটিং শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে। টানা শূটিং চলে এ সিনেমার। এরপর একাধিকবার মুক্তির তারিখ শোনা গেলেও হয়নি। শূটিংয়ের পর এত দেরিতে যে ছবির মুক্তি, সেই ছবির আবেদন কতটা থাকে বলে মনে করেন মিথিলা? তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে শূটিংয়ের অনেক দিন পর ছবি মুক্তি দিলে দর্শকের কাছে আবেদন কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে এই ছবিতে তারা (মিথিলা) আর হোসেন (নাঈম) মাঝির ভালোবাসা দর্শকের আবেদনকে ফিরিয়ে আনবে। আমি আর নাঈম এই প্রথম জুটি বেঁধেছি। আমাদের বিশ্বাস, দর্শক আগ্রহ হারাবেন না।’ ‘জলে জ্বলে তারা’ ছবিতে মিতিলা নদীপারের একজন মেয়ে, নাম তারা। এই চরিত্র হয়ে উঠতে তার সামনে রেফারেন্স কী ছিল?

কীভাবে চরিত্রটি হয়ে উঠেছেন তিনি? নদ-নদীর পারের মানুষের জীবন কি এর আগে দেখার সুযোগ হয়েছিল তার? এসব বিষয় নিয়েও এ গ্ল্যামারকন্যা কথা বলেন। মিখিলা বলেন, ‘আমি কর্মসূত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-গোত্রের মানুষের সঙ্গে মিশেছি, কাজ করেছি। এই ছবির চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য আমি সামনে রেফারেন্স না থাকাটাই ভালো মনে করেছি। আমি সাধারণত রেফারেন্স দেখতে চাই না। আমি চাই আমার মতো করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে, যেন তাতে অন্য কোনো চরিত্রের আদল ফুটে না ওঠে। গত পাঁচ বছরের সব কাজে তাই দর্শক আমাকে নতুনভাবেই পেয়েছেন, এবারও পাবেন। এ সিনেমার কাজের সময় পরিবেশ কেমন ছিল? সেটি নিয়ে মিথিলা বলেন, নাঈমকে আমি কলেজে পড়ার সময় থেকে চিনি। তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। সহশিল্পী পূর্বপরিচিত হলে বা বন্ধুত্ব থাকলে অবশ্যই অভিনয় করাটা সহজ হয়।’ এ অভিনেত্রীকে আপনাকে কলকাতার কয়েকটি চলচ্চিত্রে টানা কাজ করতে দেখা গেছে। ওখানে সামনে নতুন কোনো কাজে দেখা যেতে পারে? এ প্রশ্নেব তিনি বলেন, কলকাতায় আমার এখনো একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। অর্ণব মিদ্যা পরিচালিত ছবিটির নাম ‘মেঘলা’। এর বাইরে আপাতত নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনা হয়নি।’ বাংলাদেশে নতুন কাজের কী অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর নতুন কাজের কথা চলছে। ইতোমধ্যে একটি জনপ্রিয় কোরিয়ান ড্রামার বাংলা ডাবিংয়ে কণ্ঠ-অভিনেতার কাজ করছি। সামনে অভিনয় প্রতিভা খুঁজে বের করার একটি রিয়েলিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায় থাকব। আর নিজের অভিনীত কাজের কথা এ মুহূর্তে বলছি না। সময় হলেই সবাই জানতে পারবে।’

×