![নতুন শিল্পীদের অভিভাবকের অভাব: খুরশিদ আলম নতুন শিল্পীদের অভিভাবকের অভাব: খুরশিদ আলম](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/asfx33-1-2502150858.jpg)
বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক নতুন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও আন্তরিকতার অভাবে সফলতা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ হিসেবে দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ খুরশিদ আলম উপযুক্ত দিকনির্দেশনার অভাবকে দায় করেন।
৭৮ বছর বয়সেও মঞ্চ মাতাচ্ছেন 'চুমকি চলেছে একা পথে' খ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কন্ঠে ফুটে উঠেছে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় গান।
এক সময় বাংলা চলচ্চিত্রে খুরশিদ আলমের গান মানেই ছিলো বারতি উন্মাদনা। তাই জীবনের এই পর্যায়ে এসেও তার মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র ও বর্তমান সময়ের তরুণ শিল্পীদের নিয়ে ভাবনা। তার ধারণা বর্তমান শিল্পীদের মধ্যে আন্তরিকতার অনেক অভাব রয়েছে। "আগে গীতিকার, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী সবাই আলাদা আলাদা ছিলো, কিন্তু সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করতো। তবে এখন সবাই একা কাজ করতে চায়। তাই এখন অনেক গান ভালো হওয়া সত্ত্বেও হিট করে না," খুরশিদ আলম জানান।
দেশে শিল্পীর সংকট নেই। সংকট আছে নতুনদের প্রতিভাকে কাজে লাগানোর মানুষ। অনেক প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও এই ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো অভিভাবক না থাকায় এবং তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় নতুনরা সফল হতে পারছেন না বলে জানান শিল্পী খুরশিদ আলম।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানের শিল্পী হলেও খুরশিদ আলমের শুরুটা হয়েছিলো রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হিসেবে। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান গেয়েছেন ১৯৬৯ সালে। তার গাওয়া পাঁচ শতাধিক গানের মধ্যে ‘মা গো মা, ও গো মা’, ‘আজকে না হয় ভালোবাসো’, ‘চুরি করেছ আমার মনটা, এই গানগুলো বেশ জনপ্রিয়’।
মুমু