প্রতুল মুখোপাধ্যায়
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ খ্যাত এই শিল্পী। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে খবরটি।
চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয় প্রতুলকে। তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এরপর স্নায়ু এবং নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। প্রতুলের শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
ভারতীয় আরেকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের অন্ত্রের একটি অপারেশনের পরে হার্ট অ্যাটাক হয়। পরবর্তীতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের শিকার হন। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি প্রতুলের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ফোনে কথা বলেন।
সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের ফোন করে প্রতুলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মমতা। শুধু তা-ই নয়, কবি-গায়কের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আরও বিশদে জানার জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাসকে হাসপাতালে পাঠান।
১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দেশভাগের সময় সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গানে সুর দিতেন। তার অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত।
তার জনপ্রিয় অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’, ‘যেতে হবে’, ‘ওঠো হে, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপ্নপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘আঁধার নামে’ ইত্যাদি।