
২০২৫ সালের মহাকুম্ভে পা রাখার পর থেকেই ফের শিরোনামে মমতা কুলকার্নি। সন্ন্যাস গ্রহণের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া থেকে শুরু হয় নয়া বিতর্ক। তাকে কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর করা হয়েছিল। কিন্তু বিতর্কের কারণে তাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
সম্প্রতি মমতা একটি সাক্ষাৎকারে নিজের পুরোনো ছবি ও অর্ধনগ্ন ফোটোশুট প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। সন্ন্যাসী হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন তিনি? মমতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একদিকে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করতে গিয়েছেন, অথচ একটা সময় বেশ কিছু অর্ধনগ্ন বা টপলেস ফোটোশুট করেছেন।
প্রশ্ন উঠতেই জবাবে তিনি বলেন, ম্যাগাজ়িনের কভারের ফোটোশুটের জন্য স্টারডাস্টের লোকজন তার কাছে এসেছিলেন। আমি সেই সময় ক্লাস নাইনে পড়ি। তারা আমার কাছে ডেমি মুর-এর একটি ছবি নিয়ে আসেন। যদিও আমি এতে অশ্লীল কিছুই দেখিনি। আপনারাও যদি ভালোভাবে দেখেন, তবে বিষয়টি হয়তো অনুভব করতে পারবেন।
আদালত-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন যে, তিনি যখন এই ফোটোশুটটি করেছিলেন, তখন তার বয়স খুবই কম। তিনি জোড়েন, আমি তখন সবে স্কুলজীবন শেষ করেছি। ওই সময় আমি নিজেকে ভার্জিন বলেছিলাম। যা মানুষ মেনে নিতে পারেননি। অনেকেরই মনে হয়েছিল যে, কিছু না করলে কেউ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারেন না। মমতার কথায়, যাঁরা অন্য পথ অবলম্বন করে ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তাদের অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু তার ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই আলাদা।
তার অর্থনৈতিক সঙ্কট কোনওদিনই ছিল না। বললেন, ‘আমার বাবা ৩৫ বছর ট্রান্সপোর্ট কমিশনার ছিলেন। আমার টাকার দরকার ছিল না কখনওই। শুধু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার প্রয়োজন ছিল। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি শারীরিক সম্পর্কের কিছুই জানতেন না। এমনকী, তাঁর দাবি গত দুবছর ধরে তিনি কোনও পর্নোগ্রাফিও দেখেননি।
গৌতম/আশিক