ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

পরীমণির পাশে দাঁড়ালেন মেহেরান সানজানা

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

পরীমণির পাশে দাঁড়ালেন মেহেরান সানজানা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি মতামত জানালেন অভিনেত্রী মেহেরান সানজানা। সম্প্রতি অভিনেত্রী পরীমণি ও বিনোদন শিল্পের সংকটময় অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন।

মেহেরান বলেন, “পরীমণির মতো সাহসী নারীদের আমাদের দেশে আরও দরকার। তাঁদের স্পষ্টবাদিতা বাকিদের সাহস জোগাবে। চিন্তা করবেন না পরী, আমি আপনার পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।”

রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পর সোমবার আদালতে পরীমণির সঙ্গে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, তিনি ফোনে পরীমণির সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি পরীমণিকে নিজের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়ার অবস্থা নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে মেহেরান আরও বলেন, “আমাদের দেশে বিনোদন জগতের অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি জেমসের শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মেহজাবীন ও গায়িকা পড়শীর মতো শিল্পীদেরও অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে, বিনোদন জগৎ যেন একদল মানুষের ক্রোধের শিকার।”

তিনি মনে করেন, গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিনোদন দুনিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। “শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত মানুষদের ওপর একের পর এক আক্রমণ হচ্ছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এভাবে আমরা আর কতদিন টিকে থাকতে পারব?”

মেহেরান আরও বলেন, “দেশের নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে একের পর এক অনুষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে। ছবি মুক্তি পেলেও মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ, হাঙ্গামা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে সিনেমা দেখতে যাবেন কীভাবে?”

তিনি অভিযোগ করেন, “মুখ খুললেই হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরীমণি হয়তো তারই শিকার। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সাহসী হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।”

মেহেরানের এই বক্তব্য বিনোদন জগতে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। তিনি যে স্পষ্টবাদী মন্তব্য করেছেন, তা অনেকেরই মনে সাহস যোগাবে বলে মনে করছেন শিল্পী মহল।

সূত্র: আনন্দবাজার

এম.কে.

×