বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওলকে ঘিরে গুঞ্জন, ব্যর্থতার হতাশায় নাকি মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে তাঁকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে (রিহ্যাব) পাঠানোর প্রয়োজন হয়। তবে হেমা মালিনীর আত্মজীবনী ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ এই গুজবের সত্যতা নিয়ে স্পষ্ট কথা বলা হয়েছে।
২০০২ সালে ‘কোয়ি মেরে দিল সে পুছে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এষা। যদিও তারকা-কন্যার এই প্রথম ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরপর একের পর এক ছবির ব্যর্থতায় তিনি বলিউড থেকে দূরে সরে যান। তাঁর কেরিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছিল, তাঁর মধ্যে নায়িকার উপযুক্ত বৈশিষ্ট্য নেই। এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে মাদক সেবনের অভিযোগ।
এষা দেওল জানিয়েছেন, এসব গুজব তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যে বড় প্রভাব ফেলে। এমনকি মাকে ভুল ধারণা থেকে মুক্ত করতে তিনি রক্ত পরীক্ষাও করান। এষার কথায়, “আমি জীবনে পার্টি করেছি, মাঝে মাঝে মদ্যপানও করেছি। কিন্তু এমন কিছু কখনোই করিনি যাতে পারিবারিক সম্মানহানি ঘটে।”
এই অপবাদ তাঁকে গভীর অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তবে তিনি সবসময় পরিষ্কার থাকতেই চেয়েছেন এবং নিজের কাজ দিয়ে ভুল ধারণা ভাঙার চেষ্টা করেছেন।
রাজু