ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

প্রসেনজিতে মুগ্ধ সবাই

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২১:১৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

প্রসেনজিতে মুগ্ধ সবাই

প্রসেনজিৎ রায়

কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খারিজা গোলনা গ্রামের ছেলে প্রসেনজিৎ রায়। এইচএসসি পাস করার পর অভাবী সংসার ও ছোট বোন টুম্পা রানীর থ্যালেসেমিয়া রোগের চিকিৎসার খরচ যোগাতে তাকে পালা গানের মঞ্চে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হচ্ছে। দর্শক অনেকেই বুঝতে পারে না সে প্রকৃতপক্ষে একজন ছেলে। দর্শক তার নাচ, গান ও অভিনয়ে মুগ্ধ।
প্রসেনজিৎ বলেন, আমি গত বছর এইচএসসি পাশ করেছি। সংসারের হাল ধরতে আমি আগে রাজমিস্ত্রির সহকারি হিসেবে কাজ করতাম। তারপর ২০১৮ সালে আঞ্চলিক পালাগানের দল লক্ষীমাড়াই মনসা মঙ্গল দলে যোগ দেই। সে উপার্জনে আমাদের সংসার চলে। এরই মধ্যে আমার ছোট বোন টুম্পা রানী থ্যালেসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। যার ব্যয় আমার একার পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমি সবার সাহায্য ও সহযোগিতা চাই। আমার বোনটির উপর যাদের মায়া হবে তারা এই নম্বরটিতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৯৬-০৯১০২১।
প্রসেনজিৎ আরও বলেন, শীতকালে এখন প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে  আঞ্চলিক পালাগান ‘মনসা মঙ্গল বেহুলা গান’ লক্ষ্মীমাড়াই মনসা মঙ্গল দলের সদস্য হয়ে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাক পড়লে সেখানে গিয়েও শো করি। অভাবী সংসার আর ছোট বোনের চিকিৎসার খরচ জোগাতে করুন কষ্ট মনে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছি। এই শীতকাল ছাড়া হয়না। বাকী সময়ে রাজমিস্ত্রীর সহকারী কাজ করি। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছোট বোন টুম্পা রানী বলেন, ভাই শুধু রক্তের স¤পর্ক নয়, সে একজন জীবনের প্রথম বন্ধু। যেখানে দুঃখগুলোও হাসিতে মিশে যায়। সে সব সময় আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাড়ি যখন থাকে ভাই তখন সারাক্ষণ আমাকে পাশে রাখে। বুঝতে পারি ভাই আমাকে সুস্থ করে তুলতে কি না কস্ট করছে। ছেলে হয়ে মেয়ে সেজে অভিনয় করে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছে বুক ভরা বেদনা নিয়ে। আমি বাঁচতে চাই আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন বলেই কেঁদে ওঠে টুম্পা।

×