যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রিয় পাঁচটি সিনেমার নাম প্রকাশ করেছেন, যা অনেকের কাছেই নতুন ও চমকপ্রদ হতে পারে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগে, ২০১২ সালে Movieline ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার সিনেমা পছন্দের তালিকা শেয়ার করেছিলেন, যা তার চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহের প্রতিফলন।
১. সিটিজেন কেইন (১৯৪১)
"সিটিজেন কেইন" ছিল ট্রাম্পের শীর্ষ পছন্দ, যা এক প্রকাশনা মালিক থেকে রাজনীতিবিদে রূপান্তরের গল্প। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, “এটি সব সময়ের সেরা সিনেমাগুলির একটি। অভিনয়, গল্প, প্রোডাকশন সবই চমৎকার। এটি ওরসন ওয়েলসের প্রথম ফিচার ফিল্ম হওয়া আরও চিত্তাকর্ষক এবং রোজবাডের রহস্য এক ব্যবসায়ী ক্ষমতার খেলার মাঝে সিনেমাটির এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”
২. দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য উইকলি (১৯৬৬)
সার্জিও লিওনের পরিচালনায় ১৯৬৬ সালের এই ইতালিয়ান স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন সিনেমাটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় পছন্দ। এতে ক্লিন্ট ইস্টউডের অভিনয় ছিল উল্লেখযোগ্য, যিনি পরবর্তীতে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ২০১২ সালের রিপাবলিকান কনভেনশনে বক্তৃতা দেন।
৩. গুডফেলাস (১৯৯০)
মার্টিন স্কর্সিজির পরিচালনায় ১৯৯০ সালের মব ড্রামা "গুডফেলাস" ছিল ট্রাম্পের আরেকটি প্রিয় সিনেমা। ট্রাম্প বলেছেন, “অদ্ভুত রোমাঞ্চকর এক সিনেমা, যার পরিচালনা এবং অভিনেতারা চমৎকার। এটি গল্পের গতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং এতে 'ব্যবসা' এবং তার পরিচালনার দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে অসাধারণ।”
৪. দ্য গডফাদার (১৯৭২)
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় "দ্য গডফাদার"ও ছিল। এই সিনেমাটি মাফিয়া, শক্তি, পরিবার এবং আনুগত্যের বিষয়গুলো এক নতুন মাত্রায় উপস্থাপন করেছে, যা ট্রাম্পের শক্তিশালী এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে যায়।
৫. গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯)
প্রায় শতবর্ষী এই ক্লাসিক সিনেমাটি ১৯৩৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং তা এখনও চর্চিত হয়ে থাকে। যদিও এই সিনেমাটি বর্ণবিদ্বেষ এবং দাসত্বের মতো বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তা সত্ত্বেও এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাসিক এবং এর গল্প ও চিত্রগ্রহণের জন্য প্রশংসিত।
আশিক