ছবিঃ সংগৃহীত
রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত এবং রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘বিনোদিনী’ মুক্তির অপেক্ষায়। কিন্তু এই ছবির পেছনের গল্পটা এত সহজ ছিল না। এটি তৈরির পথে নায়িকা এবং নির্মাতাকে পেরোতে হয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ, শুনতে হয়েছে কটূক্তি এবং অপমান। তবে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে রুক্মিণী আজ সেই লড়াইয়ের কথা খোলাখুলি শেয়ার করেছেন।
রুক্মিণী বলছেন, “প্রথমেই তো বিনোদিনী হয়ে ওঠাটা বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। কত কথা, কত কটাক্ষ... তবু আমি সব উপেক্ষা করে নাচ, অভিনয়, অনুশীলন চালিয়ে গেছি। আমি বিশ্বাস করি, কথায় নয়, কাজে উত্তর দিতে হবে। বিনোদিনীর চরিত্র আমার কাছে যেমন একটা দায়িত্ব, তেমনই দর্শকদের প্রতি আমার ভালোবাসা। আমি কাজটাকে তাঁদের পায়ে অর্পণ করি। সেটাকে গ্রহণ করবেন কি না, সেটা তাঁদের ওপর।”
এই ছবির যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে রুক্মিণীর মতে, ছবিটি তৈরি হওয়া নিয়েই একাধিকবার সংশয় দেখা দিয়েছিল। “শুরুর দিক থেকেই শুনতে হয়েছে, পোস্টারে নায়িকার মুখ দিলে ছবি চলবে না। হিরোর মুখ দিতে হবে। এমনকি ছবির নাম বদলে তাতে পুরুষ চরিত্রের নাম জুড়ে দিতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, তবেই ব্যবসা হবে। তবে রাম বলেছিল, ‘আমি বিনোদিনী বানাচ্ছি, পোস্টারে একা বিনোদিনী-ই থাকবে।’ এই লড়াইটা করতে আমাদের পাঁচ বছর সময় লেগে গেছে।”
এই চরিত্রের জন্য কত্থক শিখেছিলেন রুক্মিণী। কিন্তু ছবি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মাঝে নাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন তাঁর শিক্ষিকা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, নাচ সরস্বতীর অংশ এবং সেটি ছাড়তে নেই। এরপর থেকে আর পেছনে তাকাননি রুক্মিণী। ছবির এক দৃশ্যে তাঁর কত্থক পরিবেশনা ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।
আজ যখন ছবি মুক্তির অপেক্ষায়, তখন রুক্মিণী স্মরণ করেন সেই কঠিন দিনগুলো। তিনি বলেন, “এই যাত্রাপথে যা কিছু শিখেছি, সেটা আমার কাছে অমূল্য। দর্শক ছবিটিকে গ্রহণ করবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আমি খুশি যে এই চরিত্রটা করতে পেরেছি।”
ছবির প্রযোজক পালিয়ে যাওয়া, নায়কদের বারবার না বলা, আর প্রচুর বাধা সত্ত্বেও ‘বিনোদিনী’ আজ আলো দেখছে। এই ছবি শুধুমাত্র রুক্মিণীর অভিনয়ের নয়, তাঁর অধ্যবসায়ের প্রতীক।
মারিয়া