ছবি: সংগৃহীত
ইনস্টাগ্রামে কিছু পোস্ট করলেই শেষে লেখেন ‘দুগ্গা দুগ্গা’! বাঙালি বাড়িতে মায়েরা ওই ভাবে প্রিয়জনের বিদায়ের সময় শুভকামনা জানান। সুস্মিতা সেনও বোঝাতে কোনও দ্বিধা করেন না, তিনি শুধু জন্মসূত্রে নয়, ভিন্রাজ্যে থেকেও মনেপ্রাণে বাঙালি। তবে তিনি যে খাদ্যরসিক বাঙালিদের মতো ‘মাছে ভাতে’ই তুষ্ট থাকেন, তা জানা গেল তাঁর ইনস্টাগ্রামের লাইভ সেশন থেকে।
ইনস্টাগ্রামে প্রায় প্রতিটি পোস্টের শেষে সুস্মিতা সেন লেখেন ‘দুগ্গা দুগ্গা’। এটি বাঙালি ঘরের মায়েদের প্রিয়জনদের বিদায়ের সময় শুভকামনা জানানোর ঐতিহ্য। সুস্মিতা সেন এভাবেই বোঝান, তিনি শুধু জন্মসূত্রে নয়, বিদেশে থেকেও মনেপ্রাণে বাঙালি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি লাইভ সেশনে জানা গেল, খাদ্যরসিক বাঙালিদের মতো তিনিও ‘মাছে-ভাতে’তুষ্ট থাকতে ভালোবাসেন।
সুস্মিতা যে খেতে অত্যন্ত ভালবাসেন, তা গোপন করেননি কখনওই। বাঙালি খাবারের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথাও জানিয়েছেন। সুস্মিতার ইনস্টাগ্রামের লাইভ সেশনে যে তাঁর খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, তা জানাই ছিল। অনুরাগীরা সুস্মিতাকে প্রশ্ন করেনও। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর প্রিয় বাঙালি খাবার কী? জবাবে সুস্মিতা বলেন, ‘‘আমি একেবারেই মাছে-ভাতে বাঙালি। সর্ষেবাটা দেওয়া মাছ খেতে আমি দারুণ ভালবাসি।’’
বাঙালি খাদ্যপ্রীতি মানে যতটা মাছ, ততটাই মিষ্টিও। সুস্মিতাকে তাঁর প্রিয় মিষ্টির ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন এক অনুরাগী। জবাবে তিনি বলেন,‘‘নলেন গুড়ের সন্দেশ আমার প্রিয়। তবে হ্যাঁ, মিষ্টি দইও আমি ছাড়তে পারব না।’’
তবে সুস্মিতার মাছপ্রীতি শুধু বাঙালি পদে সীমাবদ্ধ নয়। মাছ দিয়ে তৈরি জাপানি খাবার সুসি খেতেও ভালবাসেন বাংলার একমাত্র ‘ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী’। এর আগে একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভেই জাপানি সুসির প্রতি তাঁর প্রেমের কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমি সুসির বিগ ফ্যান’’অর্থাৎ বড় ভক্ত।
বাঙালিদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে যখন কথাবার্তা, তখন বিরিয়ানিই বা বাদ যায় কী করে! সুস্মিতা জানিয়েছেন, বিরিয়ানি পেলে তিনি সব কিছু ভুলে যান। তবে এখানে একটি ট্যুইস্ট আছে। সুস্মিতা কিন্তু হালকা স্বাদের আলু দেওয়া কলকাতা বিরিয়ানির থেকেও বেশি পছন্দ করেন মশলাদার হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। ভারতের বিরিয়ানি সংস্কৃতিতে কলকাতা বনাম হায়দরাবাদের যুদ্ধ লেগেই থাকে। সুস্মিতা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর হায়দরাবাদি বিরিয়ানির প্রতি প্রেম অনেকটাই জন্মসূত্রে। কারণ, তিনি জন্মেছেন হায়দরাবাদ শহরে। তাই ওই শহরের খাবারের প্রতি তাঁর নাড়ির টান রয়েছে।
রাসেল