.
হলভর্তি সংগীতপ্রিয় দর্শক শ্রোতা। সবাই নিমগ্ন চিত্তে শুনছেন একের পর এক নজরুলসংগীত। কখনো একক আবার কখনো সমবেত গানে সবাইকে মুগ্ধতায় ভারিয়ে দিচ্ছেন শিল্পীরা। এর আগে শীত উপেক্ষা করে সবাই মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আসতে শুরু করেছেন রাজধানীর ছায়ানটের রমেশ চন্দ্র স্মৃতি মিলনায়তনে। উদ্দেশ্য একটাই, দেশের প্রতিথযশা শিল্পীদের কণ্ঠে নজরুলের গানের মাধুর্য অনুধাবন করা। এদিন সন্ধ্যায় ভাব গাম্ভির্যের মধ্যে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা আয়োজিত শ্রোতার আসর ছিল প্রাণবন্ত।
শিল্পী সানজিদা জোহরা বিথীকার কণ্ঠে নজরুলের ‘রসঘন শ্যাম কল্যাণ’ গানটি দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে শিল্পী শান্তনু তালুকদার পরিবেশন করেন নজরুলসংগীত ‘শান্ত হও শিব’। ধীরে ধীরে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক নীরবতায় মগ্ন হয় গানে। মৈত্রী ঘোষ পরিবেশন করেন ‘আজকে গানের বান’। সবাই শিল্পীকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। শিল্পী ফারাহ্ দীবা লাবণ্যর কণ্ঠে ‘মুখে কেন নাহি বলো’ গানটি ছিল দারুণ উপভোগ্য। পরে শিল্পী সুদীপ্ত শেখর দে পরিবেশন করেন ‘এসো বধু ফিরে এসো’। ইন্দিরা রুদ্র চন্দ্রার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তোমার নামে একি নেশা’। শিল্পী স্বর্ণালী সরকার পরিবেশন করেন ‘তোমারেই আমি চাহিয়াছি’। তার অসাধারণ গায়কী ও সুরেলা কণ্ঠে মুগ্ধ হয় দর্শক শ্রোতা। শিল্পী দিপ্তী সমাদ্দারের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় নজরুলের কালজয়ী গান ‘তোমার বুকের ফুলদানিতে’। একের পর এক গানে এক অন্য রকম সংগীতিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সংগীতে মনোনিবেশ করার মতো আয়োজন খুব কম হচ্ছে। যেখানে যতটুকু আয়োজন করছেন সংগীত পিপাসুরা তাতেই অনেকে মনোনিবেশ করে চেতনার পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করছেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী প্রিয়ন্ত দেব। তার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় নজরুলের শ্রোতাপ্রিয় গান ‘ এ নহে বিলাশ বন্ধু’। শিল্পী গার্গী ঘোষ পরিবেশন করেন ‘সুরেও বাণীর মালা’। শিল্পী ঈষিতা বড়ুয়ার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আমি কুল ছেড়ে চলিলাম’। শিল্পী মিতালী সরকারের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘চেওনা সুনয়না’। শ্রান্তি কর পরিবেশন করেন ‘আজি নন্দ দুলালের সাথে’। মিরাজুল জান্নাত সোনিয়ার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘ বলো না বলো না ওগো’। শিল্পী আফরোজা খান মিতা পরিবেশন করেন ‘মোর না মিটিতে আশা’। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশন করে সকলকে বিমোহিত করেন জনপ্রিয় নজরুলসংগীত শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, খায়রুল আনাম শাকিলসহ আরও অনেকে।