ছবিঃ সংগৃহীত
বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খানের ওজন কমানোর অসাধারণ গল্প অনুপ্রেরণার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। ৯৬ কেজি ওজন থেকে ৪৫ কেজি কমিয়ে তিনি যেমন শারীরিকভাবে সুস্থ হয়েছেন, তেমনি নিজের জীবনধারাতেও এনেছেন বড় পরিবর্তন। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর ওজন কমানোর চ্যালেঞ্জ এবং মোটিভেশন নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
সারার মতে, তাঁর ওজন কমানোর যাত্রা শুরু হয়েছিল করণ জোহরের একটি পরামর্শে। পরিচালক তাঁকে বলেন, “তোমার ওজনের অর্ধেক কমাও,” কারণ তিনি সারাকে একটি সিনেমার জন্য প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন। এই মন্তব্য সারাকে অনুপ্রাণিত করেছিল নিজের জীবনধারা পরিবর্তন করতে।
সারা জানান, তিনি ৯৬ কেজি ওজনের সময় নিজেকে এক ধরণের নেতিবাচক চক্রে আটকে ফেলেছিলেন। তিনি বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন দেখতাম ওজন ৮৫ কেজি, তখন মনে হতো ৮৫ থেকে ৯৬-এর মধ্যে কী পার্থক্য? এর ফলে আমি আরও বেশি খেতে শুরু করতাম, যা আমার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমার হরমোনাল সমস্যাও তৈরি হচ্ছিল। ওজন বেশি থাকা মানে শুধু বাহ্যিক সমস্যাই নয়, এটি মানসিক এবং হরমোনাল স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।”
সারা জানান, যদিও তিনি ৪৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন, তবুও ওজন ধরে রাখা তাঁর জন্য সহজ নয়। তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমি আবারও কিছুটা ওজন বেড়ে গিয়েছিলাম। আমাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয় যে আমি কী খাচ্ছি। আমার মুখ বড় হয়ে যাচ্ছিল, শরীরের অংশগুলো মোটা হয়ে যাচ্ছিল। এটা আমাকে খুবই সতর্ক থাকতে বাধ্য করে।”
সারা তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ওজন কমাতে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “ওজন বেশি থাকা মানে শুধু চেহারায় প্রভাব পড়া নয়; এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সারা আলি খানের এই যাত্রা কেবল শারীরিক পরিবর্তনের গল্প নয়; এটি একজন মানুষের মানসিক দৃঢ়তার উদাহরণ। তাঁর এই সাফল্য অনেকের জন্যই হতে পারে অনুপ্রেরণার উৎস।
মারিয়া