উদ্বোধন শেষে ভাস্কর্য প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অতিথিরা। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার জাতীয় ষষ্ঠ ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, শিল্পকলা যেন বৈচিত্র্যময় জায়গা হয়ে ওঠে, যেখানে দেশ-বিদেশের চিন্তক, শিল্পীর আনাগোনা থাকবে।
শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে শুরু হোক নতুন অধ্যায়। হারিয়ে যাওয়া যত সৃজনশীলতা, তা ফিরে আসুক। ৫ আগস্ট হোক শিল্পজগতের জন্য এবং তরুণদের জন্য নতুন সৃষ্টি।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন পর্যায় থেকে ভাস্কর্যের বিরোধিতার কারণে গ্রামবাংলার শত শত মৃৎশিল্পীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা ও জীবিকার বিষয় দেখতে হবে।
জামিল আহমেদ বলেন, প্রতি মাসে অনলাইনে শিল্পকলার জার্নাল বের হবে, যা ছয় মাস অন্তর ছাপা হিসেবে বের হবে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে শিল্পকলার কার্যক্রমের জন্য জনবলসংকটের কথা তুলে ধরেন তিনি।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, শিল্পকলা মানুষকে নতুন চিন্তায় নিমজ্জিত করে। এতে শিল্পীর আদর্শিক বা রাজনৈতিক চিন্তার প্রভাব থাকতে পারে। প্রদর্শনীটি শনিবার শুরু হয়ে ২০ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার ১৫৯ জন শিল্পীর ১৭৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে সেরা ৩ জন বিজয়ী ও ১০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দেশবরেণ্য ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান ও প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুস সাত্তার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভাস্কর আতিকুল ইসলাম।
শহীদ