মানুষ জীবন সবসময় সমান সমীকরণে চলে না, কখনো সুখ এবং কখনো কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।যখন খারাপ সময় আসে তখন আমরা ভেঙ্গে পড়ি।এই সময়ে সঠিক রাস্তা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন তাই এই সময়টাতে জীবনকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে হবে। জীবনকে ভিন্নভাবে দেখার অন্যতম একটা মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা।একটা ভালো সিনেমা শুধু মাত্র আমাদের আনন্দই দেয় না বরং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দেয়।
বিশেষভাবে, মনোবিজ্ঞান এই ধারণাটিকে সমর্থন করে যে নির্দিষ্ট কিছু চলচ্চিত্র মূল্যবান জীবন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে এবং আমাদের অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করাতে সাহায্য করতে পারে। এই সিনেমাগুলির প্রত্যেকটির আলাদা দৃষ্টিকোন রয়েছে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির উপর এবং আমাদের সাহায্য করে নতুন দৃষ্টিতে আমাদের সংগ্রামে।
সুতরাং, যদি আপনি যদি অভিভূত হতে চান তাহলে কিছু পকপকর্ন হাতে নিন এবং এই সিনেমাগুলে দেখে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
১.দ্য পারসুইট অফ হ্যাপিনেস (The Pursuit of Happyness) একটি অনুপ্রেরণাদায়ক চলচ্চিত্র, যা ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। মুভিটি একজন সংগ্রামী পিতা ক্রিস গার্ডনারের জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এতে অভিনয় করেছেন উইল স্মিথ, যিনি ক্রিস গার্ডনার চরিত্রে অভিনয় করে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়েছেন। তার সঙ্গে তার বাস্তব জীবনের ছেলে জেডেন স্মিথ অভিনয় করেছে।
গল্পটি ক্রিস গার্ডনারের জীবনের কঠিন সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে। ক্রিস একজন সেলসম্যান, যিনি পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেও লড়াই করেন। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, আর তিনি তার ছোট ছেলেকে নিয়ে একা হয়ে যান। আর্থিক সংকটের কারণে তারা রাস্তায় ঘুমানোসহ নানা দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে। তবে ক্রিস হাল ছাড়েন না। তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং নিজের উপর বিশ্বাস তাকে একটি ইন্টার্নশিপ থেকে সফল স্টকব্রোকারে পরিণত করে।
এই মুভি আমাদের শেখায় যে, জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে আশা এবং বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েও ধৈর্য আর আত্মপ্রত্যয় দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।
২.ইনসাইড আউট (Inside Out) একটি অসাধারণ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র, যা ২০১৫ সালে পিক্সার এবং ডিজনি প্রোডাকশন থেকে মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছেন পিট ডকটার। মুভিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন ১১ বছর বয়সী মেয়ে রাইলি এবং তার মস্তিষ্কে থাকা পাঁচটি আবেগ—জয়, স্যাডনেস, অ্যাঙ্গার, ফিয়ার, এবং ডিসগাস্ট—এর চারপাশে।
গল্পের শুরুতে রাইলির জীবন আনন্দময় থাকে, কিন্তু যখন তার পরিবার একটি নতুন শহরে স্থানান্তরিত হয়, তখন তার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনের সাথে তার আবেগগুলোর মধ্যেও সংঘাত সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, জয় এবং স্যাডনেস একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করে। তারা রাইলির মস্তিষ্কের "হেডকোয়ার্টার" থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, রাইলির মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
এই মুভি আমাদের শেখায় যে, সব আবেগেরই জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু আনন্দ নয়, দুঃখও জীবনের সমান প্রয়োজনীয়, কারণ এটি আমাদের সংযোগ স্থাপন এবং ব্যক্তিগতভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
৩.ফাইট ক্লাব (Fight Club) ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত ১৯৯৯ সালের একটি কাল্ট ক্লাসিক চলচ্চিত্র, যা চাক পলাহনিউকের একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত। এতে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নর্টন, ব্র্যাড পিট এবং হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার।
গল্পটি শুরু হয় একজন নামহীন নায়কের (এডওয়ার্ড নর্টন) মাধ্যমে, যিনি জীবনের একঘেয়েমি এবং ঘুমের অভাবে ভুগছেন। তার জীবনে উত্তেজনা ফেরে টাইলার ডারডেন (ব্র্যাড পিট) নামের একজন ক্যারিশম্যাটিক এবং রহস্যময় ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। তারা মিলে গোপন "ফাইট ক্লাব" প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে পুরুষেরা তাদের ভেতরের ক্ষোভ এবং হতাশা মুক্ত করার জন্য একে অপরের সঙ্গে মারামারি করে।
তবে গল্পটি শুধু মারামারি নয়; এটি আধুনিক সমাজের ভোগবাদ, পরিচয় সংকট, এবং পুরুষত্বের বিষয়ে গভীর দার্শনিক প্রশ্ন তোলে। মুভিটি টুইস্টে ভরপুর, যা দর্শকদের শেষ পর্যন্ত চমকে দেয়।
৪.রেকুইম ফর আ ড্রিম (Requiem for a Dream) ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি নাটকীয় চলচ্চিত্র, যা ড্যারেন অ্যারোনফস্কি পরিচালিত। এই মুভিটি হাবস্ট্যান্স অপব্যবহার এবং নেশার স্বপ্নের প্রতি মানুষের আসক্তির পরিণতি নিয়ে নির্মিত। মুভিটি হুবহু চারটি চরিত্রের গল্প অনুসরণ করে, যারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য নেশার জগতে হারিয়ে যায়।
গল্পটি শুরু হয় হ্যারি (জ্যারেড লেটো), তার মাকে সারা (Ellen Burstyn), তার বান্ধবী মার্লেন (Jennifer Connelly), এবং তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। সারা, যিনি একজন একা মহিলা, নিজের জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে চায়, কিন্তু যখন তাকে একটি টেলিভিশন শোতে অংশগ্রহণের জন্য চান্স মেলে, তখন সে নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে। হ্যারিও তার জীবনে আরো অর্থ উপার্জন এবং সুখী জীবনের জন্য নেশায় জড়িয়ে পড়ে। মুভির প্রতিটি চরিত্রই ধীরে ধীরে তাদের স্বপ্নের প্রতি তাদের আশা হারিয়ে, নিজেদের ভয়াবহ পরিণতির দিকে চলে যায়।
এটি একটি অত্যন্ত অন্ধকার এবং ভারী মুভি, যেখানে নেশার প্রভাব, মানুষের আত্মবিশ্বাসের অবক্ষয়, এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক ধ্বংসের এক কঠিন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
৫.গুড উইল হান্টিং (Good Will Hunting) ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অসাধারণ নাটকীয় চলচ্চিত্র, যা গাস ভান সান্ত পরিচালিত এবং ম্যাট ডেমন ও বেন অ্যাফ্লেকের লেখা। এতে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন, রবিন উইলিয়ামস, বেন অ্যাফ্লেক এবং মিনিকা মুনিস। মুভিটির গল্প revolves around উইল হান্টিং (ম্যাট ডেমন), একজন বিশেষ প্রতিভাবান যুবক, যে গণিতের বিষয়ে অত্যন্ত মেধাবী, কিন্তু তার জীবন জটিল এবং বিপথগামী।
উইল একটি ছোট মেরিল্যান্ড শহরের ডকুমেন্ট ক্লার্ক হিসেবে কাজ করে এবং তার মেধার কোন মূল্যায়ন হয় না। একদিন, একটি অত্যন্ত জটিল গণিত সমস্যার সমাধান করে তিনি একটি ম্যাথেমেটিক্যাল দলে নজর কাড়েন, তবে তিনি অপরাধমূলক আচরণের জন্য জেলে চলে যান। তার বিচারক তাকে একটি শর্ত দেয়—একটি থেরাপি সেশন এবং গণিতের অধ্যায় নিয়ে কাজ করা। থেরাপিস্ট হিসেবে রবিন উইলিয়ামসের চরিত্র "শনিকি" তাকে সাহায্য করতে শুরু করেন। শনিকি উইলের কঠিন মনের ভিতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন, এবং ধীরে ধীরে উইল তার ভয়, ক্ষোভ এবং নিজের অজ্ঞতার মুখোমুখি হতে শিখে।
এই মুভিটি একদিকে প্রতিভা ও সম্ভাবনার গল্প, অন্যদিকে একজন মানুষের নিজস্ব পরিচয় এবং শৈশবের আঘাতের সঙ্গে লড়াই করার গল্প। রবিন উইলিয়ামস চরিত্রটির মাধ্যমে উইল হান্টিং একটি নতুন দিশা পায় এবং তার জীবনের সত্যিকারের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হয়।
৬.ফরেস্ট গাম্প (Forrest Gump) ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হৃদয়স্পর্শী চলচ্চিত্র, যা রবার্ট জেমেকিস পরিচালিত এবং টম হ্যাঙ্কসের অভিনয়ে মুখ্য। এটি উইনস্টন গ্রুমের উপন্যাস থেকে চিত্রায়িত। মুভির গল্প অনুসরণ করে ফরেস্ট গাম্প (টম হ্যাঙ্কস), একজন সহজ, দয়া-ময় এবং অতি সাধারণ পুরুষ, যিনি শারীরিকভাবে বিশেষ কিছু দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও জীবনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন।
ফরেস্টের জীবনের গল্প বিভিন্ন সময়ের ও ঘটনায় ভরা। তিনি মাইকেল জ্যাকসনের মত বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের বীর সেনা, এবং একটি সফল ক্রাব শিকারী ব্যবসার মালিক হন। কিন্তু এগুলো সবই ঘটে তার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ, জেনি (রোবিন রাইট), যার প্রতি ফরেস্টের গভীর অনুভূতি ছিল। ফরেস্টের জীবন মূলত এক স্রোতের মতো, যেখান থেকে তাকে একের পর এক অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
এই মুভিটি জীবনের সাদাসিধে কিন্তু গভীরতার এক অসাধারণ উদাহরণ। ফরেস্টের চরিত্রটি মনের অশান্তি, আত্মবিশ্বাস এবং পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধের প্রতীক। তার জীবনের ঘটনাগুলো আমাদের শেখায় যে, জীবন আসলে অনেকটা "চকলেটের বাক্সের মতো", কখনো কী ঘটবে তা আমরা জানি না, তবে সবকিছু কিভাবে গ্রহণ করতে হয় সেটি আমাদের হাতে থাকে।
৭.দ্য সিক্রেট লাইফ অফ ওয়াল্টার মিটি (The Secret Life of Walter Mitty) ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অ্যাডভেঞ্চার ও ড্রামা চলচ্চিত্র, যা বেন স্টিলার পরিচালিত এবং তিনি নিজেই প্রধান চরিত্র ওয়াল্টার মিটির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এটি জেমস থার্বারের একই নামের একটি ছোট গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
গল্পটি ওয়াল্টার মিটি (বেন স্টিলার) নামক এক নিস্তেজ, একঘেয়ে জীবনের মানুষকে নিয়ে, যে একটি ম্যাগাজিনে কর্মরত। তিনি একজন দৈনন্দিন অফিস কর্মচারী, যিনি তার জীবনে কোন উত্তেজনা বা সাহসিকতা খুঁজে পান না। তার জীবন অতিবাহিত হয় দিনরাতের একঘেয়েমি কাজের মধ্যে, এবং তিনি প্রায়ই মনের ভিতরে এক ধরণের দিবাস্বপ্ন (ডে ড্রিম) দেখেন, যেখানে তিনি এক বিশাল সাহসিক অভিযান অংশ নেন।
একদিন, তিনি আবিষ্কার করেন যে তার ম্যাগাজিনের শেষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি হারিয়ে গেছে। ওয়াল্টার, তার সাহসিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে, সেই ছবির সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। এই যাত্রায়, তিনি নিজেকে এক নতুন দিশায় খুঁজে পান, যেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রমণ করেন, ভয়কে জয় করেন এবং জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পান।
মুভিটি একজন সাধারণ মানুষের জন্য এক অসাধারণ যাত্রার কাহিনি, যা তাকে তার নিজের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সাহসিকতা, স্বাধীনতা এবং জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিকোণ দেবে।
৮.সিলভার লাইনিংস প্লেবুক (Silver Linings Playbook) ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা চলচ্চিত্র, যা ডেভিড ও. রাসেল পরিচালিত। মুভিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্র্যাডলি কুপার, জেনিফার লরেন্স, রবার্ট ডি নিরো এবং জ্যাকি উইভার। এটি একই নামের একটি উপন্যাস থেকে চিত্রায়িত।
গল্পটি প্যাট সলিতানো (ব্র্যাডলি কুপার) নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে, যিনি তার জীবনে মানসিক ভারসাম্য ফেরানোর চেষ্টা করছেন। একটি মানসিক হাসপাতালে আট মাস কাটানোর পর তিনি বাড়ি ফেরেন এবং তার জীবনে একটি নতুন শুরু করতে চান। তার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেন, যদিও তার মানসিক অবস্থার কারণে এটি জটিল হয়ে ওঠে।
এ সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় টিফানি ম্যাক্সওয়েল (জেনিফার লরেন্স) নামের এক তরুণীর, যিনি নিজেও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ধীরে ধীরে তারা একে অপরের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং একটি নাচের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ শুরু করে।
মুভিটি মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবার, সম্পর্ক এবং জীবনের নতুন সুযোগের উপর আলোকপাত করে। ব্র্যাডলি কুপার এবং জেনিফার লরেন্সের অসাধারণ অভিনয় মুভিটিকে সবার হৃদয়ে জায়গা করে দিয়েছে।
৯.লাইফ ইজ বিউটিফুল (Life is Beautiful) ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালিয়ান চলচ্চিত্র, যা রবার্তো বেনিনির পরিচালনায় নির্মিত। এই চলচ্চিত্রে রবার্তো বেনিনি নিজেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে গুইডো নামক একজন হাসিখুশি ও আশাবাদী মানুষের গল্প, যিনি নিজের পরিবারের জন্য অন্ধকার সময়েও আনন্দ খুঁজে বের করেন।
গুইডো একজন মজার, প্রাণবন্ত মানুষ, যিনি দোরা নামক এক শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন। তারা একসাথে সুখী জীবন কাটায় এবং একটি পুত্র সন্তান, জশুয়া, পৃথিবীতে আসে। কিন্তু তাদের সুখী জীবন যুদ্ধের বিভীষিকা দ্বারা ছিন্ন হয়ে যায়। গুইডো এবং তার পরিবারকে বন্দী করে একটি নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
এই দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যেও, গুইডো তার ছেলেকে বাস্তবতার বিভীষিকা থেকে রক্ষা করতে কল্পনার জগৎ তৈরি করে। তিনি তার ছেলেকে বোঝান যে, তারা একটি "গেম" খেলছে এবং যদি তারা জয়ী হয়, তবে একটি বড় পুরস্কার পাবে।
মুভিটি একদিকে যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা তুলে ধরে, অন্যদিকে আশাবাদ, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দেয়। গুইডোর চরিত্র আমাদের শেখায় যে, জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তেও ভালোবাসা ও ইতিবাচকতার মাধ্যমে সুন্দর কিছু তৈরি করা সম্ভব।
রাসেল