সংগৃহীত
৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ নিয়ে একরে পর এক ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। জাতীয় ইস্যুর পাশাপাশি তাদের গণমাধ্যমের মিথ্যাচারের কবল থেকে বাদ যায়নি দেশের শোবিজ অঙ্গনও।
ভারতের গণমাধ্যমে সপ্তাহখানেক আগে খবর রটে গৃহবন্দী করা হয়েছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। হিন্দুস্তান টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন, নিউজ১৮সহ আরও কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন বাংলা সংস্করণে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়। মুহূর্তেই খবরটি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায়। বিষয়টি নজর এড়ায়নি চঞ্চলের। তিনি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দেন। জানান, খবরটি ভিত্তিহীন। এমন খবরের কোনো ভিত্তি নেই। চঞ্চল জানান, তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করে সংবাদ প্রকাশ করেনি।
ঠিক এক সপ্তাহ পর আবার কলকাতার সংবাদ মাধ্যমে এবার ছোট পর্দার বড় তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে নিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বড়দিন সামনে রেখে ভারতে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে কলকাতায় অপূর্ব অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘চালচিত্র’। এটি পরিচালনা করেছেন প্রতিম ডি গুপ্ত। কথা ছিল এদিন কলকাতায় গিয়ে সিনেমার প্রিমিয়ারে উপস্থিত থাকবেন অপূর্ব। কিন্তু ভিসা পেয়েও নাকি ভারতে যেতে পারছেন না অভিনেতা!
যার কারণ হিসেবে ছাপা হয়, ‘প্রায়শই নাকি হুমকি মিলছে সেখানকার (বাংলাদেশের) তারকাদের। সেই কারণে সব ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও নিজের প্রথম ছবির প্রিমিয়ারে থাকতে পারলেন না অপূর্ব।’
গায়েবি সুত্রের বরাতে দেওয়া আনন্দবাজারের এই প্রতিবেদনের খবর পেয়ে রীতিমতো হতবাক স্বয়ং অপূর্ব। এক মুঠোবার্তায় দেশের গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন, তিনি বিস্মিত, এমনকি বিষয়টি তার মন খারাপ করে দিয়েছে। অপূর্বর কথায়, ‘যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, তবে শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণেই ভারতে যাওয়া হয়নি। আমার না যাওয়ার কারণ হিসেবে ভারতীয় মিডিয়ায় যেটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে অপূর্ব অভিনীত প্রথম টালিউড সিনেমা ‘চালচিত্র’। সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল তার। এই দারুণ উপলক্ষ্য দূরে বসেই উদযাপন করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরে রাজশাহীর এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা, ফলে ভারতে যেতে পারেননি তিনি।
শিহাব