ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সংস্কৃতি উৎসব উদ্বোধন 

সংস্কৃতি প্রতিবেদক ॥

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সংস্কৃতি উৎসব উদ্বোধন 

উদ্বোধন 

সারা বছরই যেন মননশীলতার প্রতিচ্ছবি  মেলে ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বইপ্রেমীদের আনাগোনা থেকে সংস্কৃতিবান পদচারণায় সজীবতা বিরাজ করে বাংলা মোটরস্থ কেন্দ্রের আঙিনায়। সেই সজীবতার মাঝে সেথায় রবিবার যুক্ত হয় উৎসবমুখরতা। উপলক্ষ ছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত দেশব্যাপী ভ্রামমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। একগুচ্ছ বর্ণিল বেলুন উড়িয়ে অতিথিরা এই মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে দেশের ৬৪ জেলা এবং সংলগ্ন উপজেলা ও বিভিন্ন শহরের সর্বমোট ১২৮টি স্থানে  এই মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তাপুষ্ট এই কার্যক্রম পরিচালনা করে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। 

হেমন্তের সকালে  দেশব্যাপী দশেব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমলো ও সাংস্কৃতিক উৎসব  উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষিয়ক মন্ত্রণালয়ের অতরিক্তি সচবি নাফরজিা শ্যামা, বাংলা একাডমেরি সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসমে ফজলুল হক, বিশ্বিসাহিত্য  কেন্দ্রের পরচিালক শামীম আল মামুন এবং  মেটলাইফ ফাউন্ডশেনর কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস  প্রেসেডিন্টে ফারিয়া মাহবুব। সভাপতিত্ব  করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ছাত্র জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে  বলেন, বিশ্বিসাহিত্য  কেন্দ্রের কথা বলতে  গেলে আমি সব সময় নস্টালজকি হয়ে পড়ি। কারণ পাবলিক লাইব্রেরির পাশাপাশি বিশ্বিসাহতি কেন্দ্রে ছিল  আমার বই পড়ার অন্যতম জায়গা । বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতির্চচার অভ্যাস গড়ে তুলতে  হবে।  এর ফলে সত্যিকারের আলোকতি মানুষ গড়ার পথ সুগম হবে। পাশাপাশি এদেশে বহু ভাষা, ধর্ম ও মতের মানুষ মিলে মিশে থাকার পরিবেশও সৃষ্টি হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের বাইরে রাজনীতিগত এবং  ভেতরে সাংস্কৃতিক অধঃপতন হয়েছে। সাংস্কৃতিক অধঃপতনের জন্য  কে দায়ী কারা দায়ী, এটি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

তবে যারা সংস্কৃতিচর্চা করেন তারা সবার প্রতি একই ধরনের উদারতা দেখাবেন, এটিই কাম্য। একে অন্যকে ‘অপর’ ভাবার প্রবণতা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ‘ভালো কিছু নয়’ উল্লেখ করে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান প্রজন্ম এই প্রবণতা  থেকে দূরে থাকতে চায়। কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে সরকারের নিজের কোনো টাকা নেই, টাকা জনগণের। জনগণের টাকা জনগণের কাজেই ব্যয় করতে হয়। ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারও জনগণের কাজ। এই কাজে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যুক্ত থাকতে পারায় আমি মনে করি মন্ত্রণালয় তার কাজ ঠিকঠাক করছে। আমরা আগামী দিনে এই কাজ নিয়ে আরও এগিয়ে যাবো।

সভাপতির বক্তব্যে  আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ব্রিটিশরা চায়ের  নেশা ধরেিয় দিয়েছিলো আর বিশ্বিসাহিত্য কেন্দ্র বইয়েরে  নেশা ধরিয়ে  দেওয়ার জন্য কাজ করছে। প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববদ্যিালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। 

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক  বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূূর্ণ করতে। 

প্রসঙ্গত, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৩টি গাড়ির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জলো এবং সংলগ্ন উপজলো ও বিভিন্ন শহরে মোট ১২৮টি স্থানে বইমলো ও সাংস্কৃিতক উৎসব আয়োজন করছে সংস্কৃতি বষিয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়।

আর কে

×