![দুই যুগ পর নিজ দেশে ফিরলেন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি দুই যুগ পর নিজ দেশে ফিরলেন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/03-2412070816.png)
বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ফাইল ছবি।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ২৪ বছর পর ভারতে ফিরে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দুই হাজার কোটি রূপীর মাদক মামলা প্রমাণের অভাবে বোম্বে হাইকোর্ট বাতিল করে দেয়ার পর তিনি ফিরলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, ৯০-এর দশকে বলিউডের সুপারহিট অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি এক আবেগঘন ভিডিওতে দেশে ফেরার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, "হাই বন্ধুরা, আমি মমতা কুলকার্নি। ২৫ বছর পর আমি ভারতের মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছি। ২০০০ সালে আমি দেশ ছেড়েছিলাম, আর ২০২৪ সালে ফিরে এলাম। আমি সত্যিই নস্টালজিক এবং আবেগাপ্লুত। কীভাবে এই অনুভূতি প্রকাশ করব, বুঝতে পারছি না। বিমানের ল্যান্ডিংয়ের আগে জানালা দিয়ে আমার দেশ দেখছিলাম। ২৫ বছর পর এই দৃশ্য দেখে আমার চোখ ভিজে উঠেছিল। মুম্বাই বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই আমি গভীরভাবে অভিভূত হয়ে পড়ি।"
জানা যায়, ২০১৬ সালে থানে পুলিশের মাদকবিরোধী সেল দুটি গাড়ি আটক করে, যেখানে প্রায় ৮০ লক্ষ রূপী মূল্যের ইফেড্রিন পাওয়া যায়। তদন্তে জানা যায়, এই মাদক মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে অবস্থিত অ্যাভন লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় উৎপাদিত। কারখানাটি পরিচালনা করতেন মমতা কুলকার্নির স্বামী ভিকি গোস্বামী।
পুলিশের অভিযোগ, ভিকি গোস্বামী ছিলেন এই মাদক চক্রের মূল হোতা। কারখানাটি থেকে ১৮,০০০ কেজি ইফেড্রিন উদ্ধার হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২,০০০ কোটি রূপী। মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন এবং ১১ লাখ শেয়ার ধারণ করতেন। পুলিশ দাবি করে, মমতা কুলকার্নি তানজানিয়া ও দুবাইয়ে মাদক সংক্রান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তবে ২০১৮ সালে মমতা কুলকার্নি বোম্বে হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি নির্দোষ এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।
পরে, চলতি বছরের শুরুতে বিচারপতি ভারতী ডাংরে এবং বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার মত যথেষ্ট তথ্য বা সাক্ষ্য নেই।
এই রায় মমতা কুলকার্নির জন্য এটি একটি বড় স্বস্তি এনে দেয়। কেনিয়ায় বসবাসরত অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রবাস প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া চলছিল। ফলে, মামলাটি খারিজ হওয়ায় তিনি আবার নিজের দেশে ফিরে আসার সুযোগ পেলেন।
মেহেদী কাউসার