ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অত্যন্ত বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ভারতের ২৪ বছর বয়সী এক যুবতী দাবি করেছেন, তিনি তার ৫০ বছর বয়সি বাবাকে বিয়ে করেছেন।
এই দাবি এতটাই অবিশ্বাস্য ও চমকপ্রদ, যে বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে। মেয়েটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, যে তিনি তার সৎ বাবা নন, বরং ওই ব্যক্তি তার প্রকৃত জন্মদাতা বাবা।
ভিডিওটি সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা জয় সিংহ যাদব। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী লাল শাড়ি, মঙ্গলসূত্র এবং সিঁদুর পরে, এক মধ্যবয়স্ক পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
তরুণী বলেন, "এনি আমার বাবা, তবে এখন থেকে আমি পৃথিবীকে বলতে চাই যে আমরা বিবাহিত।" পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষটি সাফ জানিয়ে দেন, "হ্যাঁ, উনি আমার মেয়ে। তাতে (বিয়েতে) সমস্যা কোথায়?"
তরুণী আরও বলেন, "অনেকে অনেক কথা বলতে পারে, সমালোচনা করতে পারে, তবে এতে আমার কোনও লজ্জা নেই। আধুনিক যুগে আমরা বাস করছি। সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে, তাই বাবা-মেয়ের বিয়েটি সহজভাবে নেওয়া উচিত।" তার মতে, “কোন যুগে আমরা আছি? এতে লজ্জার কী আছে?” তিনি আরও বলেন, "অনেক দিন ধরে বাবাকে ভালোবাসি, তাকে পছন্দ করতাম। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ঠিক করেছি যে আমরা স্বামী-স্ত্রী হব।"
ভিডিওটি ইতিমধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে, বেশিরভাগ দর্শক এই সম্পর্ককে বেআইনি, অশ্লীল এবং সমাজের নীতির বিপরীত বলে মন্তব্য করেছেন। কিছু মানুষ আবার এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি সমাজের মৌলিক নৈতিকতার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ছে।
এতটা বিতর্কিত বিষয়টির প্রভাব এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এটি সামাজিক, নৈতিক ও আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এমন একটি ভিডিও যে কতটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে, তা নিঃসন্দেহে স্পষ্ট।
নুসরাত