ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দর্শকের নয়ন জুড়ানো ‘অ্যাক্রোবেটিক’ প্রদর্শনী

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৩ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:৪২, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দর্শকের নয়ন জুড়ানো ‘অ্যাক্রোবেটিক’ প্রদর্শনী

অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী

একসময় বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল সার্কাস। সেখানে থাকতো তাক লাগানো নানারকমের খেলা আর শারীরিক কসরত। সার্কাসের এই প্রধানতম উপাদানের নাম অ্যাক্রোবেটিক। বাংলায় বলে দড়াবাজি। সার্কাসের মতোই দর্শকপ্রিয় এই শিল্পটিও বিলুপ্তপ্রায়।

সম্প্রতি চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল শিল্পীকে নিয়ে শনিবার শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে ‘অ্যাক্রোবেটিক শো’। তাতে নানারকম শারীরিক কসরত দেখিয়ে দর্শকের কড়তালি কুড়িয়েছেন শিল্পীরা।  


গত ১৭ আগস্ট ৮ থেকে ১০ বছরের ২৩ জন শিশু শিল্পী এবং ২ জন প্রশিক্ষকসহ ২৫ জনের একটি দল চীন থেকে অ্যাক্রোবেটিকের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। জ্যেষ্ঠ অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের সঙ্গে এই শিল্পীদের নিয়েই ছিল শনিবারের আয়োজনটি। এতে রোপ রাউন্ড বিল; এ্যারিয়েল হুপ; ব্যাংকেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প, সৌদিয়াসহ নানা রকম দড়াবাজি দর্শককে উপহার দিয়েছেন শিল্পীরা।


নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির বলেন, জুলাই বিপ্লব উত্তর সময়ের সকল স্থবিরতা কাটিয়ে উঠে আগের মতো শিল্পের সকল শাখায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু ও জ্যেষ্ঠ অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের নিয়ে ‘অ্যাক্রোবেটিক শো’ এর আয়োজন করা হয়েছে।


আয়োজনটির শুরুতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমদ বলেন, দড়াবাজির উল্লেখ রয়েছে মহুয়ার পালায়। এ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশে কয়েকশ বছর ধরে দড়াবাজি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তবে এখন এই শিল্পমাধ্যমটি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের লুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান মহাপরিচালক। তিনি প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষিত শিল্পীদের বলেন, দড়াবাজি যেন আবারো বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ হয়। শিল্পমোদীদের দড়াবাজি এবং সার্কাসের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।

মনোয়ার/শহিদ

×