চিত্রনায়িকা পরীমণি।
গ্রাম থেকে উঠে আসা শামসুন্নাহার স্মৃতির পরীমণি হয়ে ওঠা অনেকটা সিনেমার কাহিনির মতোই। মাকে হারিয়েছেন খুব কম বয়সেই; তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে দুর্বৃত্তের গুলিতে। পরে অভিভাবকের দায়িত্ব নেন নানা শামসুল হক গাজী। গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান পরীমণির নানা।
যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কী যন্ত্রণা…এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নায়িকার কণ্ঠে শোনা গেল হৃদয়ভাঙার কথা।
পরীমণি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া, ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কী যন্ত্রণা!’
হঠাৎ অভিনেত্রীর ফেসবুকে এমন প্রতিক্রিয়া দেখে ভক্তরা দুইটি কারণ খুঁজে পাচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রথম স্বামীর মৃত্যুর খবরে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরী।
আবার অনেকেই পরীমণির নানা শামসুল হক গাজীর মৃত্যুর সঙ্গে এই স্ট্যাটাসের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন। কারণ এক বছর আগে ঠিক এইদিনেই নানা শামসুল হক গাজীকে হারিয়েছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২)।
ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।
ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, ‘ইসমাইল পরিমণির প্রথম স্বামী ছিলেন। তবে তাদের তালাকের পরে ইসমাইল আবারও বিয়ে করেছিলেন। সেই ঘরে তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।’
অন্যদিকে পরীমণি বরাবরই নিজের প্রথম বিয়ে নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন। মিডিয়াতেও কখনো ইসমাইলকে নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব বা উত্তর দেননি তিনি।
রিয়াদ