উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী
জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে টক শো সঞ্চালনা করতে গিয়ে আলোচনায় আসেন উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। সেই টকশো করে মূলত বিচারপতি মানিকের বিপরীতে ধৈর্য ও ভদ্রোচিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন এই উপস্থাপিকা।
সেই টকশো করে ভাইরাল হয়ে এতদিন সবার প্রশংসা পেলেও বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে ট্রল করছেন অনেকেই। তাকে নিয়ে কেউ বানাচ্ছেন মিম, কেউ ছড়াচ্ছেন ভিত্তিহীন তথ্য। কখনও তার ফ্যামিলি, কখনও তার শিক্ষাগত অবস্থান, কখনো বা তার শারীরিক বর্ণনা ইত্যাদি নিয়ে নানাভাবে একটি পক্ষ ট্রল করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে দীপ্তির প্রশ্ন, মিথ্যাচার করতে ক্লান্ত লাগে না আপনাদের? ভাইরাল সেই টকশোতে দীপ্তি বলেছিলেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এখন সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের অনেকেই জানতে চাইছেন তার ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ পরিচয়ের সত্যতা। এ নিয়ে বেশ বিরক্ত দীপ্তি। ক্ষোভ ঝেড়েছেন ফেসবুকে ।
নিজের ফেসবুকে পেইজে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘বডি শেমিং, ট্রলিং, পলিটিক্যাল হ্যারেসমেন্ট আরো কত কিছু! একটার পর একটা। ক্লান্ত লাগে না আপনাদের? একবারও বুক কাঁপে না শুধুমাত্র রাজনৈতিক জেদ থেকে এমন মিথ্যাচার করতে? আমার নিরপেক্ষতা আপনাদের জন্য সুফল বয়ে আনল না বলে এত কিছু করতে হবে? একবার ভেবে দেখবেন।’
দীপ্তির দেয়া পোস্টে রীতিমতো মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে সেসব মন্তব্যের সব যে তার পক্ষে গেছে তা কিন্তু নয় বিপক্ষেও লিখেছেন অনেকে। অবশ্য সেসবের কোনো উত্তর দেননি দীপ্তি।
তার পক্ষে লিয়াকত আলী নামে একজন লিখেন, সমালোচনা পৃথিবীতে থাকবেই,আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যান,তা না হলে পিছে পড়ে যাবেন প্লিজ।
বিপ্লব দাস নামে একজন জানতে চেয়ে লিখেন, মুক্তিযোদ্ধা বাবার ছবিসহ বিস্তারিত জাতি জানতে চায়! এস কবির লিখেন, নিন্দুকেরা চিরদিনই নিন্দা করবে তবুও এগিয়ে যেতে হবে।
আফরোজা নামে একজন লিখেন, আপনার পরিবারে কে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল এটা আমাদের মতো সাধারণ জনগণ অনেকেই জানতে চায়,আর এই চাওয়া অযাচিতও নয়।
প্রসঙ্গত, দীপ্তি চৌধুরী উপস্থাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে কাজ করে থাকেন। তিনি চ্যানেল আইতে ‘এখন কি চাই’ এবং ‘স্ট্রেইট কাট’ দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
তাসমিম