নিহত হর্ষিতা ব্রেলা ও তার খুনি স্বামী পঙ্কজ। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি লন্ডনে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ভারতীয় তরুণী হর্ষিতা ব্রেলা (২৪)। ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা হর্ষিতা ব্রেলা গত বছর আগস্টে পঙ্কজ লাম্বাকে বিয়ে করার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। তবে তার নতুন জীবন খুব একটা সুখকর হয়ে ওঠেনি। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় হর্ষিতাকে, এবং প্রাথমিক তদন্তে তার স্বামী পঙ্কজের নাম উঠে এসেছে।
১৪ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ড এলাকায় একটি পার্ক করা গাড়ির ভেতর পুলিশ হর্ষিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হর্ষিতা সম্প্রতি নর্থহ্যাম্পশায়ারে তার বাসা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান এবং তার মৃতদেহ ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ইলফোর্ডে পাওয়া যায়। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ৬০ সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ নানা অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, হর্ষিতার স্বামী পঙ্কজ (২৩) ঘটনার পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশের ধারণা, এই মাসের শুরুতে পঙ্কজই তার স্ত্রীকে হত্যা করে এবং মরদেহ লন্ডনে নিয়ে আসেন।
হর্ষিতার পরিবার, যারা দিল্লিতে থাকেন, খুনির শাস্তির দাবি করেছেন। তার মা সুদেশ কুমারী সাংবাদিকদের বলেন, "আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।" হর্ষিতার বাবা সতবীর ব্রেলা জানিয়েছেন, তাদের বিয়ের পর থেকেই পঙ্কজ কিছু অভিযোগ তোলেন, যেমন হর্ষিতা সময়মতো খাবার দিতেন না এবং মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেও বিরক্ত হতেন পঙ্কজ।
হর্ষিতার বোন সোনিয়া দাবাস জানান, "দিদির বিয়ে খুব সাধারণভাবে হয়েছিল। লন্ডনে বসবাস নিয়ে দিদি খুব উৎসাহী ছিল, কিন্তু বিয়েটা খুব একটা সুখের হয়নি।"
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত অনুসন্ধানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ যাচাই করা হচ্ছে। নিহত হর্ষিতার পরিবারও হত্যার বিচার দাবিতে একযোগে সোচ্চার হয়েছে।
নুসরাত