সংগৃহীত ছবি।
এ বছর এখনও পর্যন্ত বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার কোনো নতুন ছবি মুক্তি পায়নি, তবে নানা ঘটনা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি মাঝেমধ্যে শিরোনামে আসেন। সম্প্রতি, তিনি তাঁর জীবনের এক অজানা দিক সামনে এনেছেন, যা অনেকেই জানেন না। অভিনেতা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে, তাঁর শৈশব কেটেছে একটি গভীর মানসিক ট্রমা নিয়ে, যা এখনও তাকে তাড়া করে।
তিনি জানান, একসময় তাঁর বাবা তাঁকে শারীরিকভাবে শাস্তি দিয়েছিলেন, এমনকি বেল্ট ও জুতো দিয়ে মারধরও করা হয়েছিল। তবে, কেন এমন ঘটনা ঘটেছিল?
এ বিষয়ে আয়ুষ্মান একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি ২০ বছর বয়সে বাবা হয়েছিলাম। ঠিক সেই সময়েই 'ভিকি ডোনার' মুক্তি পেয়েছিল, এবং আমি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করি। তাহিরা এবং আমি একসঙ্গে বড় হয়েছি, এবং আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনযাপন করেছি।"
আয়ুষ্মান তাঁর মেয়ে নিয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করেছেন, যা তার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। তিনি জানান, "আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো আমার একটি মেয়ে আছে। আমি চাই সে ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক। কন্যারা অন্যদের অনুভূতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে, এবং আমার মেয়ে আমার জীবনে অনেক কিছু বদলে দিয়েছে।"
অভিনেতাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, "আপনি কি আপনার বাবার মতো বাবা হয়েছেন, নাকি আলাদা?", তখন আয়ুষ্মান এক চমকপ্রদ উত্তর দেন। তিনি বলেন, "আমি একেবারে অন্যরকম বাবা। কারণ, আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত স্বৈরাচারী। তিনি প্রায়ই আমাকে শাস্তি দিতেন, বেল্ট ও জুতো দিয়ে মারধর করতেন। এটি তাঁর জন্য একটি সাধারণ ব্যাপার ছিল, কিন্তু আমার জন্য ছিল না। সেই কারণে, আমার শৈশবও কাটে এক ধরনের মানসিক ট্রমার মধ্যে। একদিন আমি একটি পার্টি থেকে ফিরছিলাম এবং আমার শার্টে সিগারেটের গন্ধ পেয়ে বাবা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করেছিলেন। অথচ, সে দিন আমি সিগারেট স্পর্শও করিনি। সেই দিনটির স্মৃতি আজও আমাকে তাড়া করে।"
এই অভিজ্ঞতা থেকেই আয়ুষ্মান জীবনে এক নতুন পথ বেছে নিতে পেরেছেন, যেখানে তিনি তাঁর মেয়ের প্রতি একটি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও ভালো বাবা হতে চান।
নুসরাত