ববিতা
দীর্ঘ নয় বছরেরও অধিক সময়ে রূপালী পর্দা থেকে নিজেকে আঁড়ালে রেখেছেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। তবে বিভিন্ন সময়ে প্রযোজক-পরিচালকেরা তার কাছে সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব নিয়ে গেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, চলচ্চিত্রের কারণেই দেশ-বিদেশে তিনি মানুষের কাছে পরিচিত পেয়েছেন। ভালো কোনো গল্প পেলে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবেন। গত কয়েকবছরে তেমন কোনো গল্প পাননি বলেও এ অভিনেত্রী জানান।
সিনেমার গল্প ও অভিনয় প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, একেবারে নতুন আঙ্গিকের মৌলিক কোনো গল্প না পেলে আমি আর অভিনয় করতে চাই না। গত ৯ বছরে অনেক নির্মাতাই আমাকে সিনেমার গল্প শুনিয়েছেন। এরপর তিনি বলেন, কোনো গল্পই সেই অর্থে আমার ভালো লাগেনি। আমি এখনো তেমন এক গল্পের অপেক্ষায় আছি, যে গল্পে অভিনয় করার জন্য মনপ্রাণ উজাড় করে কাজ করব।
নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক হয় ববিতার। নায়িকা হিসেবে ববিতার প্রথম সিনেমা ‘শেষ পর্যন্ত’। আলোচিত সিনেমা ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশী-বিদেশী অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ প্রভৃতি।