.
প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। জীবনের ৭১ বসন্ত পেরিয়ে ৭২-এ পা রেখেছেন রবিবার। আর বিশেষ এই দিনটি প্রতিবারের মতো পালন করেছে চ্যানেল আই। চ্যানেলটির নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘তারকা কথন’-এ এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই শিল্পী। জন্মদিন উদ্যাপনের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, রবি চৌধুরী, সংগীত পরিচালক মানাম আহমেদ ও ফোয়াদ নাসের বাবু। এ দিনের অনুষ্ঠানে জীবনের নানান বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কিংবদন্তি রুনা লায়লা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রুনা লায়লা বলেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, আমাকে এখনও সুস্থ রেখেছেন। সবার কাছে দোয়া চাই যেন বিধাতা আমাকে, আমার পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আমি যেন আরও সুন্দর সুন্দর গান শ্রোতা-দর্শককে উপহার দিতে পারি। সংগীত জীবনে দীর্ঘ ষাট বছরের চলার পথে মানুষের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে মনে করি সবার দোয়ায় আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, আসলে প্রথম থেকে স্ট্রাগল করতে হয়নি। আল্লাহর রহমতে, গান নিয়ে আমার কাছে সবাই এসেছে। কারও কাছে গিয়ে গান চাইতে হয়নি। সবার কাছ থেকে আদর, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, দোয়া সব পেয়েছি। বাধা দু-একটা এসেছে, আল্লাহ আমাকে তা অতিক্রম করার শক্তিও দিয়েছিল। তাছাড়া আমি কোনো বাধা খুব একটা গুরুত্ব দেইনি।
জন্মদিনে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উদ্দেশে পরামর্শ চাইলে রুনা লায়লা বলেন, আমার মনে হয়, এই প্রজন্মের সব শিল্পীই খুব মেধাবী। তবে ওদের একটু সুযোগ দরকার। একটু সুযোগ পেলেই তারা অনেক কিছু করতে পারবে, আমার বিশ্বাস। আমার সামর্থ্যে যতটা সম্ভব, ওদের এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কেউ আমার কাছে কোনো পরামর্শ চাইতে এলে, আমি তাকে সময় দেই, দিকনির্দেশনা দেই।
মাত্র ১২ বছর বয়সে লাহোর থেকে একটি সিনেমায় গান গাওয়ার প্রস্তাব পান তিনি। কিন্তু বাবা সম্মতি দেননি। গান গাওয়া নিয়ে কোনো আপত্তি ছিল না, কিন্তু চলচ্চিত্রের ব্যাপারে তখন অনেকেরই ছিল নেতিবাচক ধারণা। অনেক কষ্টে বাবাকে রাজি করান রুনার মা। সিনেমার নাম ‘জুগনু’। ১৯৬৫ সালের ওই উর্দু ছবিতে রুনা গাইলেন ‘মুন্নি মেরি’ গানটি। পাকিস্তান রেডিওর ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে রুনা লায়লা প্রথম বাংলা গান রেকর্ডিং করেন। দেবু ভট্টাচার্যের সুর করা গান দুটি ছিল ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’ এবং ‘আমি নদীর মতো পথ ঘুরে’।